আফগানদের ২৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ দিল টাইগাররা

Musfiq-samakal-5d10c1ddec69c

স্পিন দিয়ে আফগানিস্তান আক্রমণ শুরু করবে জানা ছিল। ডানহাতি অফ স্পিন সামলাতে তাই সৌম্যর বদলে লিটন নামেন ওপেনে। যদিও খুব একটা কাজে দেয়নি নতুন সমন্বয়। স্পিন দিয়েই আফগানরা মাত করে। তবে দলের অভিজ্ঞ চার ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে ভালো খেলেছেন। সাকিব-মুশফিক ফিফটি পেয়েছেন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক রান বাড়িয়েছেন। বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৬২ রান। মুস্তাফিজ-সাকিবদের বল হাতে এখন রান আটকাতে হবে।

বাংলাদেশ দল ২৩ রানের মাথায় লিটনকে হারায়। ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিতর্কিত ক্যাচে ফিরে যান তিনি। দলে একটা ধাক্কা লাগে। সেই ধাক্কা সামাল দেন সাকিব এবং তামিম। দু’জনে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। তামিম ধীরে খেলে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন। তবে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে ফেরেন। সাকিব এবং মুশফিক সেখানে দাঁড়িয়ে ৬১ রানের নতুন জুটি গড়েন। সাকিব চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন। আউট হন ৫১ রানে।

এরপরই সৌম্য সরকার ৩ রান করে ফিরলে চাপ বেড়ে যায় টাইগারদের ওপর। দল ১৫১ রানে হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ গড়েন ৫৬ রানের জুটি। পায়ের চোট নিয়ে মাহমুদুল্লাহ খেলেন ২৭ রানের ভালো এক ইনিংস। বাংলাদেশ ভালো সংগ্রহের ভিত্তি পেয়ে যায়।

পরে মুশফিক এবং মোসাদ্দেক দলের রান ভালো একটা জায়গায় নিয়ে শেষ করেন। মুশফিক আউট হওয়ার আগে খেলেন ৮৭ বলে ৮৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। শট খেলায় মনোযোগ না দিয়ে তিনি ডাবল-সিঙ্গেলে মন দেন। মাত্র চারটি চার এবং এক ছক্কায় ওই রান তোলেন তিনি। মোসাদ্দেক ২৪ বলে ৩৫ রান করে ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করেন। চারটি চার মারেন তিনি। জয় পেতে এখন বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে হবে। ভালো করতে হবে মুস্তাফিজেরও।

আফগানিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন তাদের স্পিনাররা। বিশেষ করে মুজিব উর। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হয়ে উঠেন তিনি। সাকিব আল হাসান এবং সৌম্য সরসারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। তার আগে লিটনকে ক্যাচে পরিণত করেন। এছাড়া গুলবাদিন নাঈব দুটি এবং একটি করে উইকেট নেন দৌলত জাদরান এবং মোহাম্মদ নবী।

Pin It