আ.লীগকে উদ্দেশ করে যা বললেন খন্দকার মোশাররফ

--20230105184453

বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারকে হটাতে না পারলে দেশে যত অনাচার-অত্যাচার-অন্যায় হচ্ছে সেসব দূর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

ড. মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে স্বাভাবিকভাবে কোনো খাতই সুন্দরভাবে চলতে পারে না। এজন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা দেওয়া হয়েছে।

সব ধর্মের প্রতি বিএনপি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির রূপরেখায় বলা হয়েছে- ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এ নীতিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী তার নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ সরকার ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তারা (আওয়ামী লীগ) কখনোই এসব মেরামত করতে পারবে না। আর এ চিন্তা-চেতনা থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। এটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত ও আশা সঞ্চার করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে- সেটাই বারবার প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে- এখন আবার করেছে। তাই হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করব, জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেব।

মোশাররফ বলেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। নানা জায়গায় তারা অনাচার করছে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ও বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা করছে। এদেশের মালিক জনগণ। অথচ এ দেশকে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠী দখলে নিয়েছে ও লুটপাট করছে। তাই আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ- দেশকে উদ্ধার করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। এ জন্য বিএনপি ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। শিগগিরই এ সরকারের পতন হবে; গণতন্ত্রের বিজয় হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে এবং তারেক রহমানকে দেশে আনতে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। বিনা কারণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি কখনো সংখ্যালঘু শব্দ ব্যবহার করে না। এ দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই সমান। এ পার্থক্য ঘুচে দিতে বিএনপি রেইনবো নেশন গঠন করবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা, সুব্রত চৌধুরী এবং বিভিন্ন জেলার নেতারা।

Pin It