ইউক্রেইন যুদ্ধ: পুতিনের মাথায় কী চলছে ? ধন্দে পশ্চিমা গোয়েন্দারা

vladimir-putin-210322-001

ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমাদের ব্যাপক অবরোধের মুখে থাকা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘নিজেরই তৈরি করা এক বুদবুদে’ আটকা পড়েছেন বলে পশ্চিমা গুপ্তচরদের বিশ্বাস, আর এ বিষয়টি তাদের আরও বেশি ভাবিয়ে তুলেছে।

পুতিন আসলে কী চান, তা বুঝতে বছরের পর বছর ধরে তারা এই রুশ নেতার মনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

কিন্তু এখন, রাশিয়ান সৈন্যরা যখন ইউক্রেইনে থমকে গেছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই চাপের মধ্যে পুতিনের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা আগে থেকে বোঝার জন্য পুতিনের মন পড়ার কাজটি পশ্চিমা গুপ্তচরদের জন্য আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিবিসি লিখেছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ যাতে আরও বিপদজনক দিকে মোড় নিতে না পারে, সেই চেষ্টা করার জন্য পুতিনের মনের দশা বোঝা এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন অসুস্থ বলে বাজারে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, পুতিন আসলে বিচ্ছিন্ন, একা হয়ে পড়েছেন এবং ভিন্ন কোনো বিকল্প ওজন করে দেখার মত অবস্থায় তিনি নেই।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এভাবেই বৈঠকে বসেন রাশিয়ার নেতা। ছবি: রয়টার্সফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এভাবেই বৈঠকে বসেন রাশিয়ার নেতা। ছবি: রয়টার্সপুতিন যে বিচ্ছিন্ন পড়েছেন, সেই ধারণার পক্ষে পুতিনের কয়েকটি বৈঠকের ছবি কিছুদিন ধরেই সামনে আনছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিশেষ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে বৈঠকে দীর্ঘ এক টেবিলের দুই প্রান্তে দুই নেতার বসে থাকার ছবি বার বার আলোচনায় আসছে। ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর আগ মুহূর্তে নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকেও সেই দূরত্ব ছিল স্পষ্ট।

একজন পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তার ব্যাখ্যায়, ইউক্রেইন অভিযানে পুতিনের প্রাথমিক সামরিক পরিকল্পনাটি একজন কেজিবি কর্মকর্তার কাজের মতই দেখাচ্ছিল।

তার ভাষায়, পুরো পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত ছিলে খুবই কম সংখ্যক মানুষ, গোপনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল খুব বেশি। কিন্তু এর ফলাফলে যা হয়েছে, তা হল বিশৃঙ্খলা। ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার কমান্ডাররা প্রস্তুত ছিলেন না এবং তারা কী করতে যাচ্ছেন তা না বুঝেই কিছু সৈন্য সীমান্ত পার হয়ে চলে গেছেন।

একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী

বিবিসি লিখেছে, রুশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা অনেক কমান্ডারের চেয়ে ওই পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কে পশ্চিমা গোয়েন্দারা আরও বেশি জানতেন। তবে রাশিয়ার নেতা এরপর কী করবেন, তা বোঝা তাদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়ায় সিআইএ এর অপারেশন পরিচালনাকারী সাবেক কর্মকর্তা জন সিফার বলেন, “ক্রেমলিনের চাল বোঝার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ হল মস্কোতে পুতিনই একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।”

যদিও তার মতামতগুলো প্রায়ই বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়, তবে পুতিন কীভাবে সেগুলো নিয়ে আগে বাড়বেন, তা জানা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয়।

ব্রিটেনের এম১৬ এর সাবেক প্রধান স্যার জন সওয়ারস বিবিসিকে বলেন, “নেতার মাথার মধ্যে কী ঘুরছে, রাশিয়ার মতো সুরক্ষিত সিস্টেমে সেটি জানা অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে যখন পুতিনের নিজের অনেক লোকই তা জানে না।”

পশ্চিমাদের বিশ্বাস, সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুতিন যুদ্ধক্ষেত্রের সঠিক খবর পাচ্ছেন না। ছবি: রয়টার্সপশ্চিমাদের বিশ্বাস, সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুতিন যুদ্ধক্ষেত্রের সঠিক খবর পাচ্ছেন না। ছবি: রয়টার্সপশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন তার নিজের তৈরি করা ‘বুদবুদে’ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন, যেখানে বাইরের চিন্তা-ভাবনা খুব কমই ঢুকতে পারে, বিশেষ করে যেসব বিষয় তার মতামতকে চ্যালেঞ্জ করে বসতে পারে, সেসব তথ্যের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই।
শিগগিরই প্রকাশ হতে যাওয়া ‘দ্য সাইকোলোজি অব স্পাইস অ্যান্ড স্পাইং’ বইয়ের সহ-লেখক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আদ্রিয়ান ফার্নহ্যাম বলেন, “এক অর্থে পুতিন নিজের প্রপাগান্ডারই ভুক্তভোগী, কারণ তিনি কেবল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের কথা শোনেন এবং অন্য সবকিছু বন্ধ করে রেখেছেন, যা তার প্রতি বিশ্বে এক অদ্ভুত ধারণা তৈরি করেছে।

“এর মূল ঝুঁকির জায়গাটা হল ‘গ্রুপ থিংক’, এ প্রক্রিয়ায় সবাই আসলে তার (পুতিন) মতামতকেই জোরদার করে। তিনি (পুতিন) যদি সত্যিই এ ধরনের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হন, তাহলে আমাদের দেখতে হবে সেই গ্রুপে কারা আছেন।”

পুতিন যাদের সঙ্গে কথা বলেন, সেই ঘনিষ্ঠ চক্রটি কখনই বড় ছিল না। কিন্তু যখন এই চক্র থেকে ইউক্রেইনে আক্রমণের সিদ্ধান্ত আসে, তখন সেই সার্কেলের অনেককে ছেঁটে ফেলাও হয়েছিল।

পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, পুতিন যাদের সঙ্গে তার চিন্তাভাবনা ও মনের কথা ‘শেয়ার করেন’, তারা সবাই পুতিনের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’।

ইউক্রেইন আক্রমণের ঠিক আগে জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের বৈঠকে পুতিন প্রকাশ্যে তার নিজের গোয়েন্দা সংস্থাকে তিরষ্কার করেছিলেন। তাতে বোঝা যায়, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আস্থাভজনদের চক্রটি কত ছোট হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ওই তিরষ্কার ছিল কর্মকর্তাদের জন্য অপমানজনক। কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন টেলিভিশনে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেও ইউক্রেন নিয়ে মোহগ্রস্থ, এবং পশ্চিমের প্রতি ক্ষুব্ধ এক ব্যক্তির প্রতিচ্ছবিই স্পষ্ট হয়।

পুতিনকে যারা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন, তারা বলেছেন, ১৯৯০ এর দশকে পশ্চিমাদের কছে হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা পুতিনকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি এটাও জোর দিয়ে বিশ্বাস করেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে দমিয়ে রাখতে এবং তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর।

পুতিনের সঙ্গে দেখা করা এক ব্যক্তি বলেছেন, ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত লিবিয়ার নেতা কর্নেল গাদ্দাফিকে হত্যার ভিডিও দেখে পুতিন একরকম আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসকে যখন পুতিনের মানসিক অবস্থার মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, “বহু বছর ধরে তিনি (পুতিন) উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও ক্ষোভের ধিকি ধিকি যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।”
পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গিকে দিনে দিনে আরও একরোখা হয়েছে মন্তব্য করে সিআইএ প্রধান বলেন, অন্য সব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুতিন আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট কি পাগল হয়ে গেছেন? এটা পশ্চিমের অনেকেরই প্রশ্ন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা তেমনটি মনে করেন না। এ ধরনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একজন মনোবিজ্ঞানী বলেন, “কেন পুতিন ইউক্রেইন আক্রমণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না বলে তাকে ‘পাগল’ হিসেবে ধরে নেওয়াটা ভুল হবে।”

সিআইএ এর একটি দল রয়েছে, যারা বিদেশি নেতাদের নেতৃত্বে বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে থাকে। সেই হিটলারের সময় থেকে এটা চলছে। ঘটনার পটভূমি, কার্যকারণ সম্পর্ক আর স্বাস্থ্যগত অবস্থার মত বিষয়গুলো তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিলিয়ে দেখেন।

২০১৪ সালে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বলেছিলেন, পুতিন ‘অন্য এক জগতে’ বাস করছেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যখন ‍পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন, তিনি পুতিনকে আগের তুলনায় ‘আরও কঠোর এবং আরও বিচ্ছিন্ন’ এক ব্যক্তি হিসেবে আবিষ্কার করেন বলে খবর আসছে।

কোথাও কি বড় কোনো পরিবর্তন ঘটে গেছে? কেউ কেউ অনুমান করেন, পুতিনের এই পরিবর্তনের পেছনে তার সম্ভাব্য অসুস্থতা বা ওষুধের প্রভাব হয়ত কাজ করছে, যদিও তাদের এমন ধারণার পেছনে শক্ত প্রমাণ নেই।

অন্যরা আবার মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোর দিকে ইংগিত করেন, যেমন রাশিয়াকে রক্ষা করা বা হারানো মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার যে লক্ষ্য পুতিন নিজের জন্য ঠিক করেছেন, তিনি হয়ত ভাবছেন যে তা পূরণ করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে রুশ নেতা দৃশ্যত নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রেখেছেন, তার মনের ওপর এটারও প্রভাব পড়ে থাকতে পারে।

সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ও চিকিত্সক কেন ডেকলেভা বলেন, “পুতিন সম্ভবত মানসিকভাবে অসুস্থ নন, তিনি হয়ত বদলেও যাননি; তবে তিনি হয়ত এখন তাড়াহুড়ো করছেন এবং সম্ভবত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।”

কিন্তু এখন বড় উদ্বেগের বিষয় হল, পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলয় ভেদ করে তার কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌঁছাচ্ছে না। ইউক্রেইন আগ্রাসনের আগে তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হয়ত এমন কিছু বলতে চায়নি, যা তিনি শুনতে চান না। তার বদলে তারা হয়ত ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমন এক সম্ভাবনার কথা বলেছে, যেখানে রুশ সেনারা দ্রুত ইউক্রেন দখল করে নেবে, কিংবা ইউক্রেইনে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে।

এক পশ্চিমা কর্মকর্তার মতে, এই যুদ্ধে রুশ সেনারা কতটা খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে, সেই সত্যটা হয়ত পুতিনের এখনও জানা নেই। ফলে তিনি যখন দেখবেন, রাশিয়ার জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে গেছে, তখন তিনি কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সেটা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
উন্মাদ তত্ত্ব
বিবিসি লিখেছে, পুতিন নিজেই তার শৈশবের একটি গল্প শুনিয়েছেন। বালক পুতিন একটি ইঁদুরকে তাড়া করছিলেন। তাড়াতে তাড়াতে ইঁদুরটিকে যখন তিনি কোণঠাসা করে ফেলেন তখন দিশেহারা ইঁদুরটি নিজেকে বাঁচাতে হঠাৎ করেই উল্টো আক্রমণ করে বসে। ইঁদুরের রুদ্রমূর্তি দেখে সেখান থেকে দৌড়ে পালান তিনি।

এখন পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের প্রশ্ন হল- কোণঠাসা বোধ করলে পুতিন কী করে বসবেন?

একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলছেন, “প্রশ্ন হচ্ছে, সেরকম হলে পুতিন কি দ্বিগুণ নিষ্ঠুর হয়ে উঠবেন? নিজের বাহিনীকে যেসব অস্ত্র প্রস্তুত রাখতে বলেছেন, সেগুলো ব্যবহার করে বসবেন?”

পুতিন রাসায়নিক অস্ত্র, এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে বসতে পারেন- এমন উদ্বেগও পশ্চিমের কারও কারও আছে।

মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আড্রিয়ান ফার্নহ্যাম বলেন, ‘‘দুঃশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনি অবিশ্বাস্য কিছু করে বসতে পারেন।”

এমনও হতে পারে, পুতিন নিজেই নিজকে বিশ্বের কাছে একজন বিপজ্জনক অথবা যুক্তিবুদ্ধিহীন মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। এটি খুবই পরিচিত কৌশল, যেটা ‘উন্মাদ তত্ত্ব’ (ম্যাডম্যান থিওরি) নামে পরিচিত।

এটা অনেকটা এরকম- কারও হাতে হয়ত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, আর তিনি হয়ত তার প্রতিপক্ষকে হারাতে চেষ্টা করছেন; তিনি অন্যদের সামনে নিজেকে উন্মাদ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন, এতটাই উন্মাদ যে, তিনি তার হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে সবাইকে ধ্বংস করে দিতেও পিছ পা হবেন না।

ফলে পুতিনের মনে কী চলছে বা তার মাথায় কী ঘুরছে- সেটা বুঝতে পারাটা এখনকার মত এতটা জরুরি আর কখনও ছিল না পশ্চিমা গোয়েন্দা আর নীতিনির্ধারকদের জন্য।

তাদের এখন বুঝতে হবে, পুতিনকে ঠিক কতটা চাপে ফেলে কার্য উদ্ধার করা সম্ভব, অথবা চাপের মাত্রা কোন পর্যন্ত রাখলে পুতিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে তার জবাব দেবেন না।

মনোবিদ কেন ডেকলেভা বলেন, ‘‘পুতিনের নিজস্ব বিশ্বাসের জায়গায় ব্যর্থতা বা দুর্বলতার কোনও স্থান নেই। তিনি ওই ধরনের সব কিছুকেই অগ্রাহ্য করেন। তাই পুতিন কোণঠাসা এবং দুর্বল হওয়া মানেই আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠা। কখনও কখনও ভালুককে খাঁচা থেকে বেরিয়ে বনে ফিরে যেতে দেওয়া ভালো।”

Pin It