ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জেঁকে বসেছে দুর্নীতি

Untitled-1-5e07c3b9d4898

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে (ইফা) অনিয়ম, দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে নিরীক্ষা (অডিট) করে ৭৯৬ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ, জাল সনদে চাকরি, ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, বেশি ব্যয় দেখানোসহ ৯৬টি অনিয়ম পাওয়া গেছে নিরীক্ষায়। এতে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ৩৭২ কোটি টাকা সরকারের সরাসরি ক্ষতি হয়েছে।

নিরীক্ষায় প্রথমে ১৩২টি অনিয়ম ও ৯০০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল। পরে ৩৬টি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি হয়। ১০০ কোটি টাকার বেশি সরকারি হিসাবে ফেরত দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইফার মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান সামীম মোহাম্মদ আফজাল। দুই দফা চুক্তিতে তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষা দল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সামীম আফজালের ১০ বছরের কার্যকালের অডিট করে। গত ৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত এ অডিট পরিচালনা করা হয়। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির পর গত মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। নিরীক্ষা দলের প্রধান ছিলেন সিএজির উপপরিচালক এস এম নিয়ামুল পারভেজ। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। একাধিক সদস্য বলেছেন, তারা যেসব অনিয়ম পেয়েছেন তা প্রতিবেদন আকারে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সিএজিতে দিয়েছেন। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব ইফার। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন  বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। শান্তির ধর্ম ইসলামের বাণী প্রচারে ইফা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে যেসব অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, তাতে তিনি মর্মাহত। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্নিষ্টদের অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সামীম আফজালের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কার্যালয়ে গিয়ে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। টেলিফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব নুরুল ইসলাম বলেছেন, ৭৯৬ কোটি টাকা অনিয়মের বিষয়ে মহাপরিচালক ভালো বলতে পারবেন।

কোরআন শরিফ ছাপাতেও অনিয়ম: সংশ্নিষ্ট সূত্রে অডিট আপত্তির পুরো প্রতিবেদনের একটি কপি কাছে রয়েছে। ১৮৯ পাতার এ প্রতিবেদনে ৯৬টি অনিয়মের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনুল কারিম মুদ্রণ ও ক্রয়ে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব প্রেস থাকলেও মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং পিপিআর ২০০৮ উপেক্ষা করে বাইরে থেকে কোরআন শরিফ ছাপানো হয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৬ টাকা। ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮০টি কোরআন শরিফ সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হলেও, ৫ লাখ কোরআন শরিফ সরবরাহ করা হয়। এতে ক্ষতি হয়েছে তিন কোটি ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অতিরিক্ত মূল্যে কার্যাদেশ দেওয়ায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি ১২ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ৪১৭ টাকা।

গণশিক্ষা কার্যক্রমে অনিয়ম ৩৩ কোটি টাকা: সরকারি অর্থায়নে (জিওবি) মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে অতিরিক্ত মূল্যে কার্যাদেশ ও বিল পরিশোধ করায় ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৪ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

ইফা অডিট আপত্তির জবাবে বলেছে, নিজস্ব ছাপাখানায় কাজের চাপ থাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক ও কোরআন শরিফ ছাপা হয়েছে। এতে ইফার আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে। তবে নিরীক্ষা দলের মন্তব্যে বলা হয়েছে, এ জবাব সন্তোষজনক নয়। নিজস্ব ছাপাখানায় চাপ থাকলে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করতে পারত ইফা। এ প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা অডিটের পর ফেরত দিয়েছে ইফা।

মেশিন কিনতে আড়াই কোটি টাকা অপচয়: ইফায় ছাপাখানার জন্য ২০১০ সালে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে অকেজো ও পুরোনো মেশিন কিনে সরকারের টাকা অপচয় করা হয়েছে। মেশিন কেনার পর তা কাজে না লাগিয়ে স্টোরে ফেলে রাখা হয়। এছাড়া সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে মেশিন না কেনায় আর্থিক ক্ষতি হয় ৪৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অস্বাভাবিক দামে কম্পিউটার ও অন্যান্য মালপত্র কেনায় ২৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বাড়তি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

কর্মসূচি পালন না করে সোয়া তিন কোটি টাকা লোপাট: জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে অনুষ্ঠান পালনের জন্য ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু বহু জেলায় অনুষ্ঠান পালনের কোনো প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষা দল।

বিধি ভেঙে ৪৫ কোটি ব্যয় করেছে ইফা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানপ্রধানের আর্থিক ক্ষমতা সর্বোচ্চ আট কোটি টাকা। সামীম আফজাল প্রেসের কাঁচামাল কেনা ও মুদ্রণ ব্যয় বাবদ ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৬ টাকা পরিশোধ করেন সরবরাহকারীকে।

বেসরকারি ব্যাংকে এফডিআর: প্রকল্পের টাকা সরকারি হিসাবে ফেরত না দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করায় ৭৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ে ৪৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অব্যয়িত ছিল। এ টাকা মহাপরিচালকের নির্দেশে জেলা কার্যালয়গুলো থেকে ইফার ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়। তারপর তা বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে এফডিআর করা হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের টাকা সরকারের কাছে থাকবে। সুদ বাবদ পাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

অডিট আপত্তির জবাবে ইফার তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলে তাকে চাকরির প্রথম দিন থেকে পেনশন সুবিধা দিতে হয়। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তাই প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা সরকারি হিসাবে জমা না দিয়ে এফডিআর করা হয়েছে। নিরীক্ষা দল এ জবাবকে সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলা কার্যালয়গুলোতে ১৪ কোটি টাকা ৯৬ লাখ টাকা বেশি দেওয়া হয়েছে গত ১০ বছরে। কিন্তু রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ না করায় এ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তার হদিস পাওয়া যায়নি। ইফার অভিযোগের জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষা দল।

অবৈধ নিয়োগ: ইফার জনবল কাঠামোতে আইন উপদেষ্টা ও মহিলা সমন্বয়ক পদ না থাকলেও দু’জনকে নিয়োগ দিয়ে বেতনভাতা বাবদ প্রায় সাড়ে ৬২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের। আইন উপদেষ্টা আবদুর রহমান মাছউদের মাসিক সম্মানী ছিল এক লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা। ইফার জবাবে বলা হয়েছে, তাকে নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মামলা পরিচালনায় সহায়তা পাওয়া গেছে। নিরীক্ষা দল বলেছে, এ দাবি সঠিক নয়। জনবল কাঠামোর বাইরে নিয়োগ দিয়ে সরকারের টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। পরিশোধ করা বেতন, সম্মান ফেরত নেওয়া উচিত।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফার্মাসিস্ট পদে নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় এইচএসসি পাসসহ প্যারামেডিকে ডিপ্লোমা। কিন্তু এসএসসি পাস প্রার্থীকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সহকারী পরিচালক পদে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্নাতক পাস জনৈক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর্টিস্ট পদে ফাইন আর্টসে স্নাতক ডিগ্রিধারী চাওয়া হলে নিয়োগ করা হয় গ্রাফিক্সে স্নাতক ডিগ্রিধারীকে। ইফা এই দুই নিয়োগের জবাব দেয়নি।

প্রতিবেদনে প্রথম শ্রেণির তিন পদে তথ্য গোপন করে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে অডিট প্রতিবেদনে। নিয়োগপ্রাপ্ত সামীম আফজালের আত্মীয়। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত ১৩৫ কর্মীকে বিধিবহির্ভূতভাবে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করায় ক্ষতি হয়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত সনদ ছাড়া টেকনিক্যাল কোটায় দু’জনকে প্রথম শ্রেণির চাকরি দিয়েছেন সামীম আফজাল। প্রোডাকশন ম্যানেজার পদে নিয়োগ পাওয়া মো. নুর উদ্দিন ও শাহ আলমের কারিগরি বিদ্যা নেই। যে প্রেসের অভিজ্ঞতা সনদ শাহ আলম দিয়েছেন তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। শাহ আলম স্নাতক পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি পেয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তার ৫ নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও, তাকে ৭ দিয়ে মেধা তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। নিয়োগ কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছিলেন না। কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিমের স্বাক্ষর নেই নিয়োগ সভার কার্যবিবরণীতে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সাত কর্মকর্তাকে প্রথম শ্রেণির পদে পদোন্নতি দেওয়ায় বেতনভাতা বাবদ ক্ষতি হয়েছে ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও মানা হয়নি। জেলার কোটায় প্রার্থী নিয়োগে জালিয়াতি করা হয়েছে। ইফা দাবি করেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষা দল বলছে, ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে ২০১০ সালে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার আগেই।

পেশ ইমাম পদে নিয়োগ পাওয়া সামীম আফজালের ভাগ্নে এহছানুল হক দাওরায়ে হাদিস পাস করেছেন ২০০৫ সালে। কিন্তু অভিজ্ঞতার সনদ দিয়েছেন ২০০৩ সালের ৫ মার্চ থেকে তিনি খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। পাস করার আগেই খতিবের দায়িত্ব পালন কীভাবে সম্ভব তা প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে। আরেক পেশ ইমাম মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দিতে তার বয়স তিন বছর কমানো হয়েছে। মেধাতালিকা প্রণয়নেও জালিয়াতি করা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদন অনুযায়ী সামীম আফজালের আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে মো. ফখরুল আলম প্রথম শ্রেণির পদ সহকারী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী তার শিক্ষা সনদ জাল। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী অনিয়ম করে ২৬৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ক্ষতি হয়েছে। এসব নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। প্রথমে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একাধিক পরিচালক ও উপপরিচালক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, এমন কোনো দুর্নীতি নেই যা প্রতিষ্ঠানটিতে হয়নি। সব নিয়মকানুন অগ্রাহ্য করে মহাপরিচালক নিজেই এসব কাজ করেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে জামায়াত-শিবির তকমা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়, দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়। একজন উপপরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছিল বায়তুল মোকাররমে পিলার ভেঙে ফেলা দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে।

ইফার বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মিছবাহুল হক চৌধুরী বলেছেন, অনিয়মের যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আলেম সমাজকে হেয় করে।

Pin It