উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ৮টি উপকারী উপকরণ

dry-skin-700x431

উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বক পেতে সাধারণ রূপচর্চার চেয়েও বেশি কিছুর প্রয়োজন হয়।

শক্তিশালী রেটিনল থেকে শুরু করে আর্দ্রতা রক্ষাকারী হায়ালুরনিক অ্যাসিড-  ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকে দেখা দেয় নানান সমস্যা, মলিনতা ও বয়সের ছাপ। তাই বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।

হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মুম্বাই ভিত্তিক ‘ফ্লোলেস কসমেটিক ক্লিনিক্স অ্যান্ড আইএলএসিএডি ইন্সটিটিউট’য়ের কসমেটোলজিস্ট ডা. মনিকা কাপুর বলেন, “উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বক পেতে সাধারণ রূপচর্চার চেয়েও বেশি কিছুর প্রয়োজন হয়। এমন কিছু বিশেষ উপকরণ হল- হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা রেটিনল। এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে চোখে পড়ার মতো উন্নতি দেখা দেয়।”

হায়ালুরনিক অ্যাসিড: ত্বক পরিচর্যার চমৎকার উপকরণ যা আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি টানটানভাব ফুটিয়ে তোলে। এটা প্রাকৃতিকভাবে এক হাজার বেশি গুণ পানি ধরে রাখে ফলে ত্বক থাকে তারুণ্যময়।

ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়াতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সেরাম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উপকারী।

ভিটামিন সি: উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক উজ্জ্বল করে, বিবর্ণতা কমায় এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। দাগছোপ ও পিগ্মেন্টেইশন কমিয়ে ত্বকে উজ্জ্বল তারুণ্যভাব ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে।

তাই সকালে ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সেরাম বা ক্রিম যোগ করা উপকারী।

রেটিনল: ভিটামিন এ থেকে সংগ্রহীত যা ত্বকে আমূল পরিবর্তন আনে। এটা কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়, বলিরেখা ও ভাঁজ কমায় এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।

রেটিনল সমৃদ্ধ প্রসাধনী সন্ধ্যার ত্বক পরিচর্যার রুটিনে যুক্ত করতে হবে। এতে সময়ের সাথে সাথে মসৃণ ও চকচকে ত্বক পাওয়া যাবে।

নায়াসিনামাইড: ভিটামিন বি-থ্রি হিসেবে পরিচিত, যা ত্বকে নানান উপকার করে। ত্বকের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ, লোমকূপ সংকুচিত এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে।

এছাড়াও ‘হাইপারপিগ্মেন্টেইশন’ কমাতে এবং সার্বিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

রোজহিপ অয়েল: প্রাকৃতিক ভেষজ তেল যা গোলাপের বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এটা ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ যা ত্বক মসৃণ ও সতেজ করতে সহায়তা করে।

হালকা ও দ্রুত শোষণ ক্ষমতা সমৃদ্ধ এই তেল ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, দাগ কমায় এবং সার্বিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

গ্লাইকোলিক অ্যাসিড: এক ধরনের আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (এএইচএ) যা ত্বক এক্সফলিয়েট করে, মৃত কোষ দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। বলিরেখা, ভাঁজ, বয়সের ছাপ ও ‘হাইপার পিগ্মেন্টেইশন’ কমিয়ে মসৃণ ও তারুণ্যভাব ফুটিয়ে তোলে।

কয়েক সপ্তাহ গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ টোনার বা সেরাম ব্যবহারে ত্বকে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা দেয়।

গ্রিন টি: এর নির্যাস ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যোগ করে। যা ত্বককে পারিবেশিক ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। এটা ত্বকে আরামদায়ক ও প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে যা লালচেভাব ও জ্বলুনি কমাতে ভূমিকা রাখে।

গ্রিন টি সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার ত্বকে ‘অ্যান্টিএইজিং’ হিসেবে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

পেপটাইডস: অ্যামিনো অ্যাসিড’য়ের এর ‘ছোট শৃঙ্খল’ যা কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং টানটানভাব ধরে রাখে। বলিরেখা ও ভাঁজ কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ফুটিয়ে তুলতে পারে।

পেপটাইডস সমৃদ্ধ সেরাম বা ময়েশ্চারাইজার দৈনন্দিন ত্বক পরিচর্যায় যুক্ত করা যায়।

খেয়াল রাখতে হবে

যদিও বাজারে নানান রকমের সৌন্দর্য চর্চার উপকরণ পাওয়া যায়। তবে ওপরের উপরকরণগুলো ত্বকের যত্নে চমৎকার কাজ করে।

Pin It