ঐক্যফ্রন্টের এমপিদের শপথ সরকার নয়, জনগণের চাপে: প্রধানমন্ত্রী

সরকার নয়, জনগণের চাপেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতরা এক এক করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

pm-sheikh-hasina-5cc2fbb09ef18

ব্রুনাইয়ে সদ্যসমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর সম্পর্কে জানাতে শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের আগে শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ নেওয়ার জন্য সরকারের চাপ আছে।

মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের সূত্র ধরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সরকার নয়, জনগণের চাপেই তারা শপথ নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শপথ নিয়েছেন তাদের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাদের নির্বাচনী এলাকা থেকেই শপথ গ্রহণে তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এখানে সরকারের চাপ দেওয়ার কিছু নেই।

সরকার বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দল ভাঙা আমার নীতি নয়। কোনো দল ভেঙে লোকবল বাড়ানোর প্রয়োজন আমার নেই। আমার দলেই প্রচুর লোকবল আছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তা জানাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বলুন, ব্যবস্থা নেব। তবে শুধু ফাঁকা কথা বললে আর অপবাদ দিলে মেনে নেব না।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এলেই দেশের মানুষ ভালো থাকে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষ সুখের মুখ দেখেছে, ভালো থাকতে শুরু করেছে।’

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার প্রসঙ্গে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ অন্যায় করলে, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, নুসরাতের সঙ্গে যা হয়েছে– এ ধরনের অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের অন্যায় যারা করবে, সে যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ব্রুনাই সফর সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তার তিনদিনের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই এবং কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ব্রুনাই সফরকালে তিনি বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নূরুল ইমানের চেরাদি লায়লা কেনচানায় রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের ফোরামে বক্তব্য দেন এবং ব্রুনাইয়ের জামে আসর মসজিদ পরিদর্শন ও সুলতানের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। দেশে ফেরার দিন মঙ্গলবার সকালে তিনি ব্রুনাইয়ের রাজধানী দারুস সালামের কূটনৈতিক এলাকা জালান কেবাংসানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিস্থাপন এবং রয়েল রেজালিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

Pin It