কারা এমপি হবেন সেই তালিকা হয়ে গেছে: রিজভী

image-754206-1703249938

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মেরুদণ্ডহীন দলদাস নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার পাঠানো সিট (আসন) বণ্টনের তালিকায় সিলমোহর দেওয়ার জন্য একটি একতরফা নির্বাচনের নাটকের আয়োজন করেছে।’

রিজভী আরও বলেছেন, ‘এই নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনারদের কথাবার্তা-আচার-আচরণ রীতিমতো হাস্যকর। গণভবনের সুতোয় পুতলের মতো নাচছে ইসি। তারা প্রায়শ বিএনপিকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। গোটা দেশের জনগণ জানে, কারা কারা এমপি হবেন সেই তালিকা হয়ে গেছে। আর নির্বাচন কমিশনাররাও ভেক ধরছেন।’

শুক্রবার বিকালে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার পূর্বনির্ধারিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে নাশকতা ও জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন। আমরা (বিএনপি) জানতে পেরেছি, একজন ডিআইজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার। এজন্য বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজনকে তুলে নিয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে দিয়ে জঙ্গি নাটক মঞ্চায়ন হতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনায় ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়েই তারা জঙ্গি নাটক করে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করেছিল। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তেও একই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে পারে।’

এ সময় দিল্লির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অতীতের তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মতোই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিল্লির প্রকাশ্য প্রভাবে জনগণ উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বৈঠক বসছে দিল্লিতে। যা নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়ারই অংশ। এটি বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক নয়।’

রিজভী আরও বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি জনগণ চায় দিল্লি সৎ ও প্রতিবেশী সুলভ আচরণ করুক। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের জানেন কত পার্সেন্ট ভোট কাস্ট করবে। তা-ও তারা গণভবনে বসে ঠিক করে রেখেছেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ঘোষণা করা। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি পূর্বনিধারিত ফলাফল ঘোষণার এসব নাটক বাদ দিয়ে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। অন্যথায় মীরজাফরদের পরিণতি কী হয়- তা ইতিহাসে পড়ে নিন।’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ১৮৫ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এই সময়ে ৬ মামলায় ৫৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Pin It