করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ ও হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ৬ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট শারমিন হোসেন, আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মদ ফজলুল হক, অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের কনসালটেন্ট ড. হীরম্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ফারহানা হাসানাত, মেডিকেল অফিসার ঊর্মি পারভীন ও মেডিকেল অফিসার কাওসার উল্লাহ।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে তাদের সামরিক বহিস্কার করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ওই চিকিৎসকরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের নির্দেশে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২ ধারা অনুযায়ী তাদের সামরিক বরখাস্ত করা হলো।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন হাসপাতালে ৬ চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর চিঠি দেন।
এই ৬ চিকিৎসকের মধ্যে অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের কনসালটেন্ট ড. হীরম্ব চন্দ্র রায় ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। মেডিকেল অফিসার ফারহানা হাসানাত ১৫ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত থেকে সম্প্রতি ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারিমন হোসেন করোনাআক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে অনিচ্ছা পোষণ করেছেন। মেডিকেল অফিসার ঊর্মি পারভীন ৩১ মার্চ যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত আছেন। একইভাবে মেডিকেল অফিসার কাওসার উল্লাহ ২১ মার্চ থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। আবাসিক চিকিৎসক ফজলুল হক করোনাআক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে অনিচ্ছা পোষণ করেছেন। এর বাইরে এই হাসপাতালে পদায়ন করা চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের বেশির ভাগই যোগদান করেননি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুইচিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়।