কোচ-অধিনায়কের ইচ্ছায় তাসকিনকে নেওয়ার চিন্তা: পাপন

taskin-5cd6f8915f873

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন তাসকিন। পায়ের গোড়ালির চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পরও তার পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না জাতীয় দল নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনেও তাসকিনের ফিটনেসকেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না রাখার কারণ দেখিয়েছিলেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও স্কোয়াডে চাননি ডানহাতি এ পেসারকে। অথচ সেই তাসকিনই নাটকীয়ভাবে আয়ারল্যান্ড সফরের দলে জায়গা করে দেওয়া হয়। তাকে নেওয়ার জন্য স্কোয়াড ১৭ থেকে ১৯ জনে উন্নীত করা হয়। এবার নতুন খবর, বিশ্বকাপ দলেও নেওয়া হচ্ছে তাসকিনকে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শনিবার গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে তাসকিনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ব্যাখ্যাও করেন, ‘রাহির মধ্যে আহামরি বৈচিত্র্য নেই। একমাত্র তাসকিন বৈচিত্র্য আনতে পারে। তার উচ্চতা অনেক, ওর বলে গতি আর বাউন্সার দুটোই আছে। যা ওখানে অনেক বেশি দরকার মনে করা হচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, তাসকিনের বাউন্সার অনেক ভালো। সে থাকলে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকবে।’

এজন্য বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হচ্ছে আরেক পেসার আবু জায়েদ রাহিকে। শেষ পর্যন্ত তাকে চোটাক্রান্ত দেখিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ড থেকে দেশে ফেরত আনা হতে পারে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৫তম সদস্য হিসেবে থেকে যেতে পারেন তাসকিন।

বিসিবি সভাপতির বক্তব্যেই সে ইঙ্গিত আছে, ‘রাহিকে বাদের তালিকায় রেখেই ১৬ এপ্রিল বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল।’

আইসিসি ২৩ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াড পরিবর্তনের সুযোগ রাখায় বোলারদের নিয়ে এই খেলায় মেতেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রধান কোচ স্টিভ রোডস আর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ইচ্ছায় বিশ্বকাপ দলে তাসকিনকে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান পাপন। অথচ জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছিলেন, ‘চোটে না পড়লে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হাত দেওয়া হবে না। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও নির্বাচক হাবিবুল বাশারও একই কথা শুনিয়েছেন। এই তিনজকে বিস্ময় উপহার দিয়ে তাসকিনকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বোর্ডের। কারণ বোর্ড সভাপতিও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করেন, ‘এই কথাটা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখনও নেইনি। তবে দলে থাকলেই যে ম্যাচে সুযোগ পাবে, সে নিশ্চয়তা নেই। মাশরাফি-মুস্তাফিজ খেলছে। তাদের সঙ্গে সাইফউদ্দিন আছে। রুবেলের মতো একজন খেলোয়াড় বসে আছে। সে (তাসকিন) প্রথমে দলে ছিল না, কারণ সে ফিট ছিল না। এখন আপনারা বলতে পারেন সে তো ফিট।’

যে টিম ম্যানেজমেন্ট তাসকিনের ব্যাপারে ইউটার্ন নিয়েছে, তারাই ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলাচ্ছে না তাকে। এমনকি গত দুই ম্যাচে ১৫ জনের দলেও রাখা হয়নি। বরং প্রস্তুতি ম্যাচে তাসকিনের পারফরম্যান্স দেখে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল। বলেছিলেন, ‘সে তো একেবারেই ফিট না। নেটে বল করা আর ম্যাচে ভালো করা এক না। নেটে ওয়াইড নাই, নো বল নাই। যা ইচ্ছে করা যায়।’

এখন হয়তো এই প্রধান নির্বাচকই উল্টে সুরে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাসকিনের প্রয়োজনীয়তা প্রচার করতে চেষ্টা করবেন। কারণ তিনি জেনে গেছেন বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘সে যদি ফিট হয়ে ওঠে এবং ভালো বোলিং করতে পারে তাহলে হয়তো বিশ্বকাপ দলে থাকবে।’

Pin It