খুলনায় এখন স্থিতিশীল মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে

image-83749-1679411317

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের প্রাক্কালে বাজারে খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বলা হয়েছে। আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইয়াসির আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসিআই)-র প্রতিনিধি, বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও শপিংমলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কাঁচাবাজার এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন। তারা রমজানের আগে ও পরে কাঁচাবাজার পর্যবেক্ষণ করবেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। মুরগির মাংসও বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে।

ডিসি খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যে ভেজাল মেশানো এবং পাইকারী বিক্রেতাদের মধ্যে যারা ডিপোতে পণ্য মজুদ করবে তাদের বিরুদ্ধে নজরদারি শুরু করেছে।

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরেও পর্যাপ্ত সরবরাহসহ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোগ্যপণ্য আমদানি বাড়ানোর জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া, আগামী ২৩ বা ২৪ মার্চ শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে লেটারস ক্রেডিট (এলসি) সহজ করার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছে।

গত কয়েক মাসে পণ্য আমদানি কিছুটা কমে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তা আবার ফিরে এসেছে।

কেসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট গোপী কিষাণ মুন্ড বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসের আগে, সম্প্রতি খোলা এলসিগুলির বিপরীতে প্রয়োজনীয় পণ্য ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে।’

খুলনার একাধিক পাইকারি বিক্রেতা বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে জানান, ব্যাপক আমদানির কারণে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিসি আরও বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস এবং টিসিবিসহ খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

Pin It