গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, অপরাধ কমাতে সাইবার নিরাপত্তা আইন

1691671956.363

সাইবার নিরাপত্তা আইন করার উদ্দেশ্য হলো সাইবার ক্রাইম কমানো। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা বা চাপ সৃষ্টি করার জন্য করা হয়নি।

কথাগুলো আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। মন্ত্রীর সেসবের উত্তর দেন। সঙ্গে এও জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইনটি ২৯ ধারায় অনলাইনে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অপপ্রচার করে মানহানি করা হলে কারাদণ্ডের বিধান তুলে দিয়ে কেবল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। অনধিক ২৫ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধ বিবেচনায় এক পয়সা থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।

আনিসুল হক বলেন, আইনের ১৭, ১৯, ২৭, ৩০ ও ৩৩ নম্বর ধারায় আগে জামিন ছিল না। এটা এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এই ধারাগুলোর সঙ্গে আরও কিছু ধারা জামিনযোগ্য করা হবে। আমরা আইনটি করছি সাইবার অপরাধ কমানোর জন্য। এটা করলে অপরাধ বন্ধ হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর সাইবার নিরাপত্তা আইন এক নয়। আগের যেখানে ১০ বছর সাজা ছিল, সেটা কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আগের সরল বিশ্বাসে অপরাধ করে থাকলে নিস্তার পাওয়া যেতো। এখন বিষয়টি তুলে দেওয়ায় কেউ আর এই অজুহাত দেখাতে পারবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়টি হলো- কেউ ব্যক্তিগত অপরাধ করেছেন, নাকি তার দায়িত্বের ভেতরে কোনো অপরাধ করেছেন? সরকারি দায়িত্বে হলে তার বিভাগ ডিফেন্স হিসেবে নিতে পারে। তার বিভাগ জানার অধিকার রাখে যে তার কোন কর্মচারীর কি অবস্থান। ব্যক্তিগত অপরাধ হলে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একটি ওয়েবসাইটের কথা জানান। ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির ওয়েবসাইটটিতে আইনের খসড়া দেওয়া আছে। এটি দেখার পর যেকোনো নাগরিক ১৪ দিনের মধ্যে তাদের মতামত দিতে পারবেন। প্রত্যেকের মতামত সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Pin It