গাজায় এখন গাড়ির বদলে গাধা-ঘোড়া

image-742727-1700585426

ইসরাইলি বোমা হামলার পর থেকে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজার প্রতিটি অঞ্চল। অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে এখন মৌলিক চাহিদার সংকট। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। জ্বালানির অভাবে যোগাযোগের আধুনিক যন্ত্রগুলোও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় মোবাইল, গাড়িসহ সব প্রযুক্তিই নিশ্চল।

এমনকি দূরপথ পাড়ি দিতে আবার সেই আদিম যুগে ফিরে গেছে গাজাবাসী। পথে পথে দেখা যাচ্ছে ঘোড়া এবং গাধার গাড়ি। গাড়ির বিকল্পে এগুলোর পিঠে ভর করেই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।

জীবন বাঁচাতে প্রতিদিনই এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন গাজাবাসী। বিদ্যুতের অভাবে দেখা দিয়েছে পরিবহণ সংকট। ফলে দৈনন্দিন দ্রব্যসামগ্রী এবং খাদ্য সংগ্রহেও প্রাণীদের ওপর নির্ভর করছে গাজার বেসামরিকরা।

একটি ঘোড়ার গাড়ির মালিক আবু মোহাম্মদ আজাইজা (৩৪) মিডলইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলেন, দিনের পর দিন, গাড়ির মালিকদের জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে তারা পরিবহণের অন্য কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।

পশুদের দ্বারা পরিচালিত এই গাড়িগুলোই তাদের টেনে নিয়ে যায়; যেহেতু তাদের জ্বালানি বা গ্যাসের প্রয়োজন হয় না। বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, গত চার বছরের তুলনায় তিনি বর্তমানে আরও বেশি মুনাফা করেছেন।

মোহাম্মদ আজাইজা আরও বলেন, এই মুনাফায় আমি খুশি নই। যদি যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমার সব অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় তবে আমি তা বিলিয়ে দিতে পছন্দ করব। যুদ্ধ শুরুর আগে কেবল গাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ পরিবহণ ব্যবহার করত। তবে এখন সব শ্রেণির মানুষেরাই প্রাণীদের এ পরিবহণের ওপর নির্ভরশীল।

গাজা শহরের একজন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা মোনা আকলক বলেন, আমি আমার জীবনে আগে কখনো এ গাড়িতে চড়ে যাইনি। কিন্তু এখন আমরা দেইর আল-বালাহ পৌঁছানোর পর থেকে বেশ কয়েকবার কার্ট ট্যাক্সি নিয়েছি।

Pin It