চিটাগংকে জেতালেন সেই ফ্রাইলিংক

chittagong-samakal-5c45f690289bf

নাদুস-নুসুদ দীর্ঘদেহি ফ্রাইলিংকের মোটেও কষ্ট হয়নি মুশফিককে কোলে নিতে। খুলনার বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে দলের অধিনায়ক কোলে চড়েন তার। আরিফুলের বলে ধুমধাম ছক্কা মেরে সেই ম্যাচ টাই করতে খুব কষ্ট হয়নি তার। খুব বেগ পেতে হয়নি টাই হওয়া ম্যাচ সুপারও ওভারে গিয়ে জয় তুলে নিতে। এরপর ঢাকার বিপক্ষেও দারুণ এক ম্যাচ শেষ ওভারে এসে ৩ উইকেটে জেতালেন ফ্রাইলিংক।

এর আগে খুলনার বিপক্ষের ম্যাচ চিটাগংকে দারুণ মোমেন্টাম দেয়। সেই থেকে জয়ের ধারায় আছে দলটি। সিলেট পর্বের পর ঢাকা পর্বের প্রথম দিনও সেই ধারা ধরে রেখেছে চিটাগং। দারুণ উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে শেষ ওভারে ঢাকার বিপক্ষে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ফ্রাইলিংক।

ফ্রাইলিংকের আসল কাজ বোলিং করা। কিন্তু দলের প্রয়োজন হলে গায়ের শক্তি খাটিয়ে বল করতে পারেন মাঠ ছাড়া। ফ্রাইলিংক তা আবারও দেখালেন। তার ১০ বলে ২৫ রানে ভর করে জিতেছে চিটাগং। এরমধ্যে শেষ ওভারে মোহর শেখের বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষ চার ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ২৬ রান।

এরমধ্যে সাকিবের করা ১৭তম ওভারে কোন রান নিতে পারেনি চিটাগং। বরং হারায় এক উইকেট। ১৮তম ওভারে চিটাগং নিতে পারে মাত্র ৫ রান। দুই ওভারে ২১ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় চিটাগংয়ের সামনে। এরপর ১৯তম ওভারেও তারা পাঁচ রান তোলে। শেষ ওভারে জেতার জন্য চিটাগংয়ের দরকার ১৬ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফ্রাইলিংককে দেন সানজামুল। দ্বিতীয় ওভারে ছক্কা মারেন ফ্রাইলিংক। পরের বলে ডাবল নেন। তিন বলে জয়ের জন্য সাত রান দরকার। ফ্রাইলিংক পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে ফেরেন।

এর আগে বল হাতে দুই উইকেট নেন ফ্রাইলিংক। এছাড়া চিটাগংয়ের হয়ে বল হাতে তিনটি উইকেট নেন ডওসন। চিটাগংয়ের হয়ে ব্যাট হাতে ডেলপোর্ট ১২ বলে ৩০ রান করেন। এছাড়া মুশফিক ২২ ও মোসাদ্দেক ৩৩ রান করেন। ঢাকা দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে চিটাগংকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দেয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন সাকিব। এছাড়া শুভাগত করেন ২৯ রান। ২৭ রান আসে নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে।

Pin It