চীনের প্রথম শহর হিসেবে শেনজেনে কুকুর-বিড়াল খাওয়া নিষিদ্ধ

image-141993-1585843085

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর মাংসের সম্পর্ক থাকায় এসব খাওয়া ও বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীন।

এর মধ্যে কুকুর ও বিড়ালের মাংস বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে চীনের শেনজেন শহর।

এটিই হচ্ছে দেশটির প্রথম কোনো শহর যেখানে এসব নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী ১ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, শুধু মাত্র খাওয়ার জন্য প্রতি বছর ৩ কোটি কুকুর মারা হয় এশিয়াতে। তবে চীনে কুকুরের মাংস খাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। অধিকাংশ চীনারা কখনো কুকুরের মাংস খায়নি বা খেতে চায় না।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেনজেন শহর কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর। উন্নত দেশে কুকুর ও বিড়াল খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে আরো আগে।’

এই নিষেধাজ্ঞাকে মানব সভ্যতার অংশ বলছেন তারা। চীনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে প্রাণীদের অধিকারবিষয়ক সংগঠন হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল।

সংস্থাটির হয়ে চীনে কাজ করেন ড. পিটার লি। তিনি বলেন, চীনে প্রতি বছর এক কোটি কুকুর ও ৪০ লাখ বিড়াল মারা হয় ব্যবসার জন্য। এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই একটা বড় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

এদিকে একই সময়ে করোনা ভাইরাসের রোগীর জন্য ভালুকের পিত্তরস ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীনা সরকার।

ভালুকের পিত্তরস চীনে প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। যেটা বন্দী ভালুকের পাকস্থলী থেকে সংগ্রহ করা হয় একদম তরতাজা অবস্থায়।

এটি লিভারের নানা ব্যাধি থেকে সারিয়ে তোলা এবং গলপাথর গলানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়ায় করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে এখন বিশ্বে ১০ লাখ মানুষের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।

যার মধ্যে চীনেই আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। আর দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

Pin It