জ্যোতি ছড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মিম

mim-bg20191110125429

২০০৭ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শোবিজে পথ চলা শুরু করেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। সে থেকেই বড় ও ছোট পর্দায় জ্যোতি ছড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সিনেমার শীর্ষ পর্যায়ের এই নায়িকার রোববার (১০ নভেম্বর) জন্মদিন।

১৯৯২ সালের এই দিনে রাজশাহীতে মিম জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় শিক্ষক বাবার চাকরীর জন্য দেশের বেশকিছু জেলায় তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। মিমের স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে কুমিল্লায়। বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন তিনি। ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভেজা’ ও ‘পূর্ণতা’ শিরোনামে তার লেখা দু’টি উপন্যাসও প্রকাশ পেয়েছে।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে মিমের। এটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। এরপর শাকিব খানের বিপরীতে ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ও ‘আমি নেতা হবো’, আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘তারকাঁটা’ ও ‘সাপলুডু’, কলকাতার সোহমের সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’, বাপ্পি চৌধুরীর সঙ্গে ‘সুইটহার্ট’, ‘আমি তোমার হতে চাই’ ও ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’সহ বেশকিছু সিনেমায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। পেয়েছেন খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা।

টেলিভিশনে মিম প্রথম পা রাখেন ২০১২ সালে ‘এক হাজার টাকা’ শিরোনামের একটি নাটকের মাধ্যমে। এরপর উপহার দিয়েছেন অসংখ্য দর্শক নন্দিত নাটক ও টেলিফিল্ম।

২০১৬ সালে ‘জোনাকির আলো’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মিম পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এ বছর জন্মদিনের বিশেষ দিনটি বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেই উদযাপন করছেন মিম। তবে জন্মদিনের পরদিন (সোমবার, ১১ নভেম্বর) থেকেই মিম রায়হান রাফির পরিচালনায় আবারও ‘পরাণ’ সিনেমার কাজ শুরু করবেন। এরপর ২০ নভেম্বর তিনি একই পরিচালকের নতুন সিনেমা ‘ইত্তেফাক’ শুরু করবেন।

গত অক্টোবরে গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘সাপলুডু’ সিনেমায় মিমকে সর্বশেষ বড় পর্দায় হাজির হতে দেখা যায়।

Pin It