ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারিতে রংপুর সিটিতে ভোট

image-610961-1667164579

রংপুর সিটি করপোরেশনে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি জানান, নভেম্বর মাসেই এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা। রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। ওই সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এ হিসাবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হবে। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৯ আগস্ট থেকে ওই বাধ্যবাধকতার সময় শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই সময় শেষ হবে।

এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই। কোনোভাবে সময়সীমার শেষের দিকে করতে চাই না। তিনি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ ও ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা-সে বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তবে কমিশন এগুলো ব্যবহার করবে-এমন প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম ব্যবহারে অনেকের অভিযোগ রযেছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কারও আপত্তি আছে কি নাই সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা ভাবছি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে যতগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, সেখানে আমরা ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে প্রতিটা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভব হলে সব আসনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা মনে করি সিসি ক্যামেরা থাকলে অনিয়ম ধরাটা সহজ হবে। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, রিপোর্ট এখনো আমাদের হাতে আসে নাই। হাতে এলে আমরা বসব। আলোচনা করব তারপর সিদ্ধান্ত নেব।

নতুন দল নিবন্ধন আবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদনের সঙ্গে যেসব তথ্য ও ডকুমেন্ট দিয়েছেন তা পরীক্ষা করার জন্য কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো শর্ত পূরণ করেছে কীনা-সেগুলো দেখবে। কোনো দল কোনো শর্ত পূরণ না করে তাহলে ওই দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।

ব্যান্ডের তালে তালে নৌকার শোডাউন : রংপুর ব্যুরো জানায়, শতাধিক পিকআপ ভ্যানে ব্যান্ডপার্টির তালে তালে লাল সবুজের পতাকায় মোড়ানো নৌকার শোডাউন করেছে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের একদিন পর রোববার আওয়ামী লীগ অভিনব এই মিছিল করে। আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নৌকা প্রতীকের এ শোডাউনের আয়োজন করে মেয়র দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে নৌকার এ শোডাউনের যাত্রা শুরু হয়। শাপলা চত্বর, মডার্ন মোড়, দর্শনা হয়ে বাস টার্মিনাল, সিও বাজার থেকে হাজিরহাট, বুড়িরহাট, মাহিগঞ্জ, পার্কের মোড় হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডেই দিনব্যাপী চলে এই নৌকার মিছিল। ব্যান্ডপার্টির সদস্যদের বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চলা এই মিছিল একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ সময় হাত নেড়ে নগরবাসীকে অভিবাদন জানান সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডল। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, নৌকা প্রতীক মানে উন্নয়নের প্রতীক। স্বাধীনতার ৫২ বছরে রংপুরের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, বেশির ভাগ উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। রংপুরের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে, নৌকার পক্ষে। সেই উন্নয়নের প্রতীক নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে চলবে এ শোডাউন।

Pin It