ডেঙ্গু প্রতিরোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

image-78679-1565261753

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেঙ্গু প্রতিরোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, এখন একটাই কাজ– যেকোনো মূল্যে ভয়ঙ্কর এডিস মশা ও ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান আরও জোরদার করতে হবে, বাংলাদেশকে জাগাতে হবে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করে ঢাকা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে দেশের বিভিন্ন জেলায় এডিস মশা নিধনের উপকরণ ও বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

লন্ডন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বিদেশ থেকে নেমেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলোই বললাম। আশা করি সবাই নিজেদের রক্ষা করবো। এর জন্য যা যা করা দরকার করবো।’

তিনি বলেন, ঈদে যারা ঘরে ফিরবেন, সবাই যেন সতর্ক ও সচেতন থাকেন। যাদের মাথাব্যথা করবে, বমি বমি ভাব হবে, খাওয়ার ইচ্ছে থাকবে না এবং শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকবে– তারা রক্ত পরীক্ষা করে এলাকায় কিংবা ঘরের দিকে গৃহযাত্রা করবেন। এটা সবার কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।

ডেঙ্গু মোকাবেলায় বাসা-বাড়ি ও কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে। জনগণকে বলবো– যে যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ বাসস্থান ও কর্মস্থল পরিষ্কার রাখুন।

মানবতার স্বার্থে ডেঙ্গু নিয়ে রাজনীতি না করে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গুবিরোধী লড়াইয়ে নামতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কথা বলে বিএনপি। তাদের বলতে চাই– দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বন্যাদুর্গত এলাকায় কী কাজ করেছেন? ডেঙ্গু মোকাবেলায় কী সাফল্যের প্রমাণ রেখেছেন?’

তিনি বলেন, “বিএনপি শুধু সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় প্রেস ব্রিফিং করেছে, জনগণের জন্য কিছু করেনি। প্রেস ব্রিফিং আর ‘লিপ সার্ভিস’ ছাড়া তারা কোথাও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করেনি। বিএনপি নেতাদের বলবো– আগে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করুন। পরে সরকারের ব্যর্থতা সম্পর্কে কথা বলুন। আসুন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করুন। এখানে কোনো রাজনীতি নেই।”

অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বান্দরবান ও সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটিতে এক হাজার শাড়ি, এক হাজার লুঙ্গি, সেমাই এবং এক হাজার মশারি বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

Pin It