ঢাকার সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ জড়ো করার প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের

image-694875-1689094885

নির্বাচন পর্যন্ত ঢাকায় কর্মসূচির রোডম্যাপ প্রস্তুতও করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাবেশের দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ মহানগর কমিটির ব্যানারে ডাকা হলেও তার মধ্যদিয়েই প্রতিপক্ষকে জবাব দিতে চাইছে ক্ষমতাসীন দলটি।

বুধবার বিএনপি যখন নয়া পল্টনে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার সমাবেশ করবে, তখনই বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ ফটকে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে ডাকা এই সমাবেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখবেন।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার মধ্যে এই সমাবেশে লক্ষাধিক জনসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে আওয়াী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

শান্তি সমাবেশের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “দেশের শান্তি, সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখা, যেকোনও ধরনের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জঙ্গিবাদের উস্কানির অপরাজনীতির বিরোদ্ধে আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে আসছি।

“এখন থেকে বড় পরিসরে আমরা দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা মাঠে থাকব, এরই অংশ হিসেবে আগামীকালের শান্তি সমাবেশ হবে আরও বড় পরিসরে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, “আমরা আগামীতে কিভাবে এগুবো, নেতাকর্মীরা কিভাবে রাজনীতির মাঠে থাকবে- সেই বার্তা সমাবেশে দেবেন সাধারণ সম্পাদক।”

সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে আলাদা আলাদা যৌথসভা করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে দিক নির্দেশনা।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, “প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মী আসবে। সেভাবেই দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের সমাবেশ হবে।”
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবে ঢাকা জেলার সাত থানা ও তার অন্তর্গত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় কার্যালয়ে অয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় নির্বাচন পর্যন্ত কর্মসূচির রোডম্যাপ প্রস্তুতের পাশাপাশি শান্তি সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ বলেন, “ঢাকা জেলার প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশে অংশ নেবেন।”

কর্মসূচি ঘিরে যেন কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “আমাদের কর্মসূচিতে বড় ধরনের লোক সমাগম করতে চাই। কেউ যেন আন্দোলনের নামে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়েও তাদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”

Pin It