ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাকৃতিক মাস্ক

download (2)

প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চায় ফলাফল পেতে দরকার সঠিক রেসিপি আর একটু ধৈর্য্য।

ত্বক পরিচর্যার যে কোনো প্রসাধনী কিনে ব্যবহার করার চাইতে ঘরে তৈরি ‘ফেইস মাস্ক’ অনেক নিরাপদ।

ভারতের ওজন সিগনেচার স্কিনকেয়ার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্চি সেহগাল ফেমিনা ডটইটন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “নিজে তৈরি ফেইস মাস্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটা ত্বকের ধরন ও অবস্থা অনুযায়ী তৈরি করে নেওয়া যায়।”

ত্বক শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র, ব্রণ প্রবণ, উন্মুক্ত লোমকূপ, ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেড্স ইত্যাদি যে কোনো সমস্যা দূর করতে ঘরে তৈরি ফেইস মাস্ক ব্যবহার কার্যকর।

ত্বকের ধরন বুঝে কয়েকটি ফেইস মাস্ক তৈরির পদ্ধতিও জানান তিনি।

শুষ্ক ত্বকের মাস্ক

শুষ্ক ত্বকের জন্য মাস্ক হিসেবে মধু খুব ভালো কাজ করে। এর প্রাকৃতিক ব্যাক্টেরিয়ারোধী উপাদান ত্বকের মলিনতা কমায়। শীতকালে যাদের ত্বকের শুষ্কতা জনিত সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য মধুর মাস্ক খুব ভালো কাজ করে।

মধু ও দুধের মিশ্রণ এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করবে।

কাঁচা দুধ দ্রুত ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। এই মিশ্রণে দুই ফোঁটা যে কোন এসেনশল অয়েল এবং এক চামচ মধু ও অ্যালো ভেরার জেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

অনেকেই জানেন না, বেইকিং সোডা বাড়তি তেল দূর করার পাশাপাশি ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেড্স দূর করতে সাহায্য করে।

এক টেবিল-চামচ করে পানি ও বেইকিং সোডা নিয়ে ফেইস মাস্ক তৈরি করে মুখে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

এই মাস্ক লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। তবে অতিরিক্ত সময় এই মাস্ক ত্বকে রাখা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

মিশ্র ত্বক

ডিমের সাদা অংশ মিশ্র ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটা নাক ও কপালের উন্মুক্ত লোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে। আর তেল নিয়ন্ত্রণ করে।

‘টি-জোন’য়ের তৈলাক্ততা কমাতে এই মাস্ক কার্যকর।

ডিমের সাদা অংশ লোমকূপের ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। ব্ল্যাক হেড্স ও ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।

ডিমের মাস্ক তৈরি করতে এর সাদা অংশ, মধু ও এক টেবিল-চামচ কমলার রস একটা পাত্রে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। চাইলে এতে এক চা-চামচ হলুদও যোগ করা যায়।

মাস্ক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করার পরে শুকানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মনে রাখতে হবে

এই মাস্কগুলো ত্বকে সমস্যা দূর করতে কার্যকর। তবে কোনো উপাদানে অ্যালার্জি আছে কি-না তা যাচাই করার জন্য ত্বকে একটু মেখে নেওয়া উচিত।

বিশেষ করে যাদের সংবেদনশীল ত্বক তাদের বেশি সচেতন থাকতে হবে।

Pin It