দুদিনের সফরে ভারতে ম্যাক্রোঁ

image-767239-1706200266

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিতে দুদিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার নয়াদিলি­র ‘কর্তব্যপথে’ কুচকাওয়াজে হাজির থাকার পাশাপাশি দিলি­প্যারিস দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পাঁচ মাস পর, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সংবিধান গ্রহণ করে ভারত। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করে আসছে দেশটি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথমে রাজস্থানের জয়পুরে অবতরণ করেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে যান ‘গোলাপি শহরের’ অন্যতম দর্শনীয় স্থান ‘আম্বর ফোর্ট’ দেখতে। হেঁটেই দুর্গে ওঠেন তিনি। এরপর যান জয়পুরের ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র’ যন্তর মন্তর। সেখানেই মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এটিই মোদির শেষ বৈঠক। গত জুলাই মাসে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস অর্থাৎ বাস্তিল দিবসের উদ্যাপন অনুষ্ঠানের বিদেশি অতিথি হিসাবে ছিলেন তিনি। এবার ম্যাক্রোঁ এলেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু হোয়াইট হাউজ আগেই জানিয়েছিল যে, বাইডেন আসতে পারছেন না।

কূটনৈতিক মহলের মতে, কাশ্মীর সমস্যা, পরমাণু পরীক্ষা বিতর্ক বা চীনের সঙ্গে সংঘাতের মতো অনেক পরিস্থিতিতে বহু দশক ধরেই ফ্রান্সকে পাশে পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের সমর্থনে ফ্রান্সই প্রথম এগিয়ে এসেছিল। তা ছাড়া ১৯৭৪ এবং ১৯৯৮ এই দু’বছরে ভারতের পরমাণু শক্তি পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ পশ্চিমা দেশগুলো যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাতে যোগ দেয়নি ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের সময় ফ্রান্সই প্রথম ভারতকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল।

ম্যাক্রোঁর দু’দিনের ভারত সফরে আরও দৃঢ় হবে সেই মৈত্রীর বন্ধন। রাশিয়ার পর ফ্রান্সই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমরাস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে ২৫টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান এবং তিনটি স্করপিয়ন সাবমেরিন ক্রয় নিয়েও প্যারিসের সঙ্গে আলোচনা চলছে দিল্লির।

Pin It