ধানক্ষেতে আগুন দেশের জন্য অশুভ সংকেত: ড. মোশাররফ

mossarof-5cdec929daa79

কৃষি নির্ভর দেশে কৃষকদের ধান ক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে খুবই অশুভ সংকেত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের ধানের মূল্য পাচ্ছে না। এতে বিক্ষুব্ধ কৃষকের ধানক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তবে সরকার এটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করছি।

শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে তিনি কারাগারে থাকায় তার পক্ষ থেকে এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি সিনিয়র নেতারা।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার বলছে ধানের মজুদ রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। একদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিদেশে চাল রপ্তানী করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। ঘাপলাটা এখানেই। মজুদ থাকলে আবার আমদানী কেনো করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাঁচার করে দিতে চাচ্ছেন ধান মজুদ থাকার পরও তাদের সুযোগ দিতে চাল আমদানির ঘটনা ঘটছে। যারা এটা করছে, তারা বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী।

বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমলেন্দু বিকাশ অপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙ্গামাটির মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের সদস্য কৌণ্ডণ্য ভিক্ষু, পাঞ্চা বংশ ভিক্ষু, সুশীল বড়ুয়া, জন গোমেজ ও জিয়া পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র চাকমা।

Pin It