নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহী-এবাদত

image-147682-1587939206

শুরুর সময় থেকেই বলের একপাশ চকচকে রাখতে মুখের লালার ব্যবহার হয়ে আসছে ক্রিকেটে। বিশেষ করে লাল বলের খেলা টেস্ট ক্রিকেটে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে লালার ব্যবহারে। যা ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলে মুখের লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথা চিন্তা করছে আইসিসি।

মূলত টেস্ট ক্রিকেটে বলের শাইনিং ধরে রাখতে ফিল্ডার, বোলাররা মুখের লালা ব্যবহার করে থাকেন। লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথা ভাবলেও বলের শাইনিং ধরে রাখতে কৃত্রিম উপাদান বা উপকরণ ব্যবহার বৈধ করে দিতে পারে আইসিসি। লেদার ময়েশ্চারাইজার ও শু-পলিশের মতো কিছু ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যা আগে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিল।

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের টেস্ট দলের পেস বোলিং আক্রমণের মূল স্তম্ভ আবু জায়েদ রাহী। ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মুখের লালার ব্যবহার বন্ধ করাই উচিত। সঙ্গে নতুন পদ্ধতি তথা শু-পলিশের ব্যবহারকে অনুমোদন দেওয়া হলে সেটিকে স্বাগত জানাবেন তিনি। তার বিশ্বাস নতুন নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না।

লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে রাহী বলেছেন, ‘অবশ্যই ভালো। কারণ হলো নিরাপত্তা সবার আগে। আমি অবশ্যই সম্মতি জানাই কারণ নিরাপত্তা আগে। এখন যদি এমন অবস্থা হয় যে, বলে থুতু লাগানো হয় তারপর যদি একজনের ভাইরাস অন্যদিকে যায়।’

তবে নতুন পদ্ধতিতে সমস্যা দেখছেন না রাহী। তিনি বলেছেন, ‘আমার আসলে মনে হয়, এটায় (নতুন নিয়মে) কোনো সমস্যা হবে না। ক্রিকেটের আগে তো নিরাপত্তা আগে। বিকল্প তো ওরা বলছে শু-পলিশের কথা। এখন তারা বিকল্পতো একটা রাখতে বলছে যে, শু-পলিশ অথবা ভ্যাসলিন অনুমোদন দেবে। এটা হলেও খারাপ না, অবশ্যই ভালো।’

বাংলাদেশ টেস্ট দলের আরেক পেসার এবাদত হোসেনও মনে করেন ভ্যাসলিন ব্যবহার করলে শাইনিং ধরে রাখা সহজ হবে। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো বল শাইনিংয়ে সাহায্য করবে। এগুলো আগে স্বাভাবিকভাবে আমরা করতে পারতাম না। থুতু দিয়েই আমাদের সব করতে হতো। এখন যদি ভ্যাসলিন বা ঐ জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে দেয় তাহলে সেটা তো আমাদের জন্য অনেক সহজ। সহজ বলতে বল শাইন করতে যেই কষ্টটা হতো সেটা আমরা এখন অনেক সহজেই করতে পারব। যত বল শাইনিং করতে পারব তত আমাদের সাপোর্ট ভালো থাকবে।’

বল চকচকে রাখার চেষ্টায় ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে শিরিষ কাগজ ব্যবহার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ‘স্যান্ড-পেপার’ কেলেঙ্কারিতে পড়ে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

Pin It