নিম্নবিত্তের প্রেম ও মনস্তত্বের ‘ভালোবাসা’

অন্তর্জালে উন্মুক্ত হলো কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহিরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা’।

valobasa-01

এক মনভাঙা তরুণীর ফেলে যাওয়া ফুল কুড়িয়ে পায় খেয়াঘাটের মাঝি। ফুলটিকে ঘিরে মাঝি ও তার স্ত্রীর মনস্তাত্বিক পরিভ্রমণের ভেতর এগিয়েছে চলচ্চিত্র ভালোবাসা’র গল্প। এর চিত্রগ্রহণ করেছেন বরেণ্য চিত্রগ্রাহক প্রয়াত আনোয়ার হোসেন। এটিই ছিলো তার সর্বশেষ কাজ।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন শাওন কৈরী এবং নির্মাণ করেছেন শুভ্রা গোস্বামী। প্রায় ১৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপক সুমন, মৌসুমী হামিদ ও শিশু শিল্পী স্লোগান। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন পিন্টু ঘোষ।

 চলচ্চিত্রটি নির্মাতা শুভ্রা গোস্বামীর প্রথম নির্মাণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে স্নাতক ও প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নির্দেশনায়ও সক্রিয় এ তরুণী নির্দেশনা দিয়েছেন তিনটি নাটক। সে পথ পেরিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণের পথে এলেন তিনি।

গ্লিটজকে বললেন, “এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্রেই শ্রদ্ধেয় আনোয়ার হোসেনকে চিত্রগ্রাহক হিসেবে পেয়ে গর্বিত। অভিনয়ের সুবাদেই তার সঙ্গে পরিচয় ও সখ্যতা ছিলো। মৃত্যুর আগে শেষবার ২০১৮ সালে যখন বাংলাদেশে এলেন তখনই তার সুবিধাজনক সময়েই শুটিংয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে এটি নির্মাণে নামি।”

রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে ও বুড়িগঙ্গানদীতে চিত্রায়িত হয়েছে শহীদুল জহিরের ‘ভালোবাসা’। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে শুভ্রা আরও বলেন, “শহীদুল জহির আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। যখন গল্পটি পড়ি তখনই চলচ্চিত্রে গল্পটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি। এ গল্পটিতে প্রেমের বিষয়টি যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি একটি নিম্নবিত্ত দম্পতির মধ্যকার মনস্তত্ব, তাদের জীবন ও সম্পর্কের রসায়নও ফুটে উঠেছে। এ জন্যই গল্পটা ভালোলাগার।”

চলচ্চিত্রটির অভিনেতা দীপক সুমন বলেন, “অনিমেষ আইচের নির্মাণে শহীদুল জহিরের গল্পে আমার ও মৌসুমী হামিদের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা ছিলো, অনেকদূর এগিয়েছিলো কাজটা। কিন্তু শেষপর্যন্ত এগোয়নি। শুভ্রার নির্মাণে স্বল্পদৈর্ঘ্য হলেও মৌসুমীর সঙ্গে একটি কাজ করা হলো। চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন।”

বেশকিছু উৎসব ঘুরে প্লাটফর্ম কম্যুনিকেশনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয় ১৩ জুলাই। এর আগে  প্রয়াত আনোয়ার হোসেন স্মরণে ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির বর্ণাঢ্য প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।

Pin It