ফিটনেস ওয়াকিংয়ের যত নিয়ম

20-SM232641

হাঁটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একে নিজের প্রয়োজনে কমানো কিংবা বাড়ানোর সম্ভব। যারা ওজন নিয়ে খুব চিন্তিত তাদের জন্য হাঁটা খুব ভালো এক্সারসাইজ। পাশাপাশি হাঁটা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং ক্যানসারসহ অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, আর্থ্রাটিস, অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। প্রতিদিন হাঁটলে শরীরে রোগবালাই সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। তাই যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই ওয়াকিং এক্সারসাইজ এনে দেবে শারীরিক সুস্থতা। কিন্তু হাঁটারও আছে কিছু নিয়মকানুন। জেনে নিন সেগুলো কী কী।

অন্যান্য ওয়র্কআউটের মতো হাঁটার আগেও শরীরকে ‘ওয়ার্ম আপ’ এবং ‘কুলিং ডাউন’ করতে হবে। এতে হঠাৎ করে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা জয়েন্টে ইনজুরি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রথমদিকে ৭ থেকে ১০ মিনিট রিল্যাক্স করে হাঁটুন। এরপর কিছু হালকা স্ট্রেচ প্র্যাকটিস করুন। পায়ের সমস্ত পেশিকে ভালোভাবে প্রসারিত করতে হবে। একই ভাবে পিঠের মাসলগুলিও প্রসারিত করুন। প্রয়োজনে একজন ফিটনেস এক্সপার্টের কাছ থেকে পরামর্শ করে জেনে নিন কোন ধরনের স্ট্রেচিং আপনার জন্য উপযুক্ত।
ফিটনেস ওয়াকিংয়ের যত নিয়ম

হাঁটার আগে, হাঁটার সময় এবং হাঁটার পর প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। বিশেষ করে গরমকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই দরকার। ফিটনেস ওয়াকিংয়ের ফলে প্রচুর ঘাম হয়, যার ফলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যেতে থাকে। তাই শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে পরিমাণমতো পানি খেতে হবে। দ্রুত হাঁটলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
শরীর অত্যাধিক গরম হয়ে গেলে হিট ক্র্যাম্প, হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা খুব জরুরি। হাঁটার সময় কখনোই ঢকঢক করে পানি খাবেন না। অল্প অল্প করে পানি খান। নাহলে মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে। এবং শরীরের সঠিক তাপও বজায় থাকবে।

ভরা পেটে হাঁটবেন না। হাঁটার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে কিছু না খাওয়াই ভালো। খুব খিদে পেলে হাঁটার আগে হালকা কার্বোহাইড্রেট স্ন্যাক্স, যেমন টোস্ট বা স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। এগুলো দ্রুত হজম হয় এবং এনার্জিও প্রদান করে।
হাঁটা শুরু করুন ছোট ছোট স্টেপে এবং ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। রানিং ট্র্যাক বা ঘাসের উপর হাঁটতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। হাঁটার সময় সঠিক শারীরিক ভঙ্গি বজায় রাখুন। সোজা হয়ে দাঁড়ান, পেটের মাসল ভেতর দিকে টানুন। সব সময় মাথা সোজা রেখে হাঁটুন।

হাঁটার সময়টাতে ইচ্ছাকৃতভাবে জোরে জোরে হাত নাড়াবেন। সামনে এবং পেছন দিকে হাত যতোটা সম্ভব তুলুন। কাঁধ পর্যন্ত তুলতে পারলে খুব ভালো হয়। ফিটনেস লেভেল বাড়লে হালকা ওজন নিয়ে হাত বেন্ড করে সুইং করুন।
হাঁটার সময় আরামদায়ক সুতির পোশাক বেছে নিন। পায়ে সাপোর্ট দিতে পারে এমন জুতা নির্বাচন করুন। ঢিলেঢালা জুতা পরে হাঁটলে গতি কমে আসে। আবার অতিরিক্ত নরম জুতাও হাঁটার জন্য উপযোগী নয়। এর পরিবর্তে খুব শক্ত না, আবার খুব নরম না-এমন জুতা পরে হাঁটুন। এর ফলে ব্যথাও কম হবে। আর হাঁটা উপভোগ করুন। কাজের চাপ, ডেডলাইনের চিন্তা ভুলে রিল্যাক্সড মুডে হাঁটুন।

Pin It