বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

gopalgonj-5d823dad13ff2

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং প্রশাসনকে বিব্রত করার চেষ্টার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করে।

এত বলা হয়, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি তথা বিভাগের সব শিক্ষক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত বিবেচনায় এনে এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে জিনিয়ার বিরুদ্ধে যে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিসে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্টস’ ফেডারেশন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানায়।

বিষয়টি নিয়ে টানা চার দিনের সমালোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ ওই ছাত্রীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেছেন।

জিনিয়া বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনও আবেদন করিনি। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন আমার হয়ে ক্ষমা চাইবেন? আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। আমি জানি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে  যায়নি।’

Pin It