বিএনপির বিবৃতিতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে: কাদের

obaidul-quader-260721

এই মহামারীকালে বক্তব্য-বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা না করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “অতিমারির এই কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ না করে, মানুষকে কোনো প্রকার সহায়তা প্রদান না করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন ভ্রান্ত-মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েই যাচ্ছে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব‌্যের জবাবে সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে আসছেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সঙ্কটে পড়া মানুষদের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ দুর্নীতিতে লোপাট হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমনপীড়ন চলছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য প্রাণপণ কাজ করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা ‘আরামপ্রদ গৃহকোণে নিরাপত্তা বলয়ে অবস্থান করে’ শুধু ‘লিপ সার্ভিস’ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত করার পাঁয়তারা করছে।

সারাদেশে কোথাও রাজনৈতিক কারণে মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢালাওভাবে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করছেন।

“সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করাই বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।”

মহামারী মোকাবেলায় সব রাজনৈতিক দলের এক যোগে কাজ করার উপর জোর দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

“করোনাকালীন অতিমারির সময়ে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে সকল রাজনৈতিক দল একযোগে মানুষ বাঁচানোর রাজনীতি করছে। এমনকি যেসব দেশে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে তুমুল বৈরিতা ছিল, তা দূর করে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।”

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক আচরণের সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, “কারা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চেয়েছিল, তা দেশবাসী জানে।

“বিএনপির হাত ধরেই এদেশের ষড়যন্ত্র, ক্যু ও হত্যার রাজনীতি বৈধতা পায়। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের পক্ষেই সম্ভব। দলের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিকে রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দুর্নীতিবাজ দলে পরিণত হয়েছে। এমনকি তার জন্য নির্লজ্জভাবে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে বিএনপি।”

Pin It