বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার দুই দলের

image-575186-1658426219

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ও ডেমোক্রেটিক লীগের নেতারা।

হস্পতিবার বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দল দু’টির শীর্ষ নেতারা। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংলাপ হয়।

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে সরকার বিরোধী সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বিএনপি।

এ বছরের শুরুতে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার ঘোষণা দেয় দলটি। এজন্য গত ২৪ মে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে দলটি।

সাম্যবাদী দল ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকারের দুশাসনের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছি। মাঝখানে বন্যা ও ঈদের কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিলো। এখন সেটা আবার শুরু করেছি। অল্পদিনের মধ্যে এই আলোচনা শেষ হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান এই ফ্যাসিবাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার, সংসদ গঠন করার জন্য আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি।

ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সেই
নব্বই সাল থেকেই আন্দোলনে আছি। আমরা কখনো কোথাও যায়নি। ওই সময়ে সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এবারের আন্দোলনেও আছি। শেখ হাসিনার সরকারের পতন ছাড়া আর বিকল্প নেই।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে দেশে বাস করছি যখন একটি অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় আছে। জনগণের মেন্ডেট ছাড়া অবৈধভাবে তারা ক্ষমতায় আছে। এই সরকারকে সরাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকবো। বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যায় প্রথমে সাম্যবাদী দল এবং রাতে ডেমোক্রেটিক দলের (ডিএল) সঙ্গে এ বৈঠক হয়। বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সাম্যবাদী দলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম। অন্য সদস্যরা হলেন- পলিটব্যুরো সদস্য মোহাম্মদ সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মেহবুব মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজাদ রহমান, সামসুল হক ভুলু, নুর উদ্দিন ঢালী ও সুমন হাওলাদার। ডিএল’র নেতৃত্বে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি। অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর হোসেন, ইয়াহিয়া মুন্না, মৃদা মোহাম্মদ আল আমিন ও ওমর ফারুক।

এর আগে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি।

এছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর),জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী, মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছে দলটি।

Pin It