‘বিদেশিদের কোনো পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না’

image-718381-1694794969

ড. ইউনূসের বিচার কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিদেশিরা কোনোদিন এ দেশের কল্যাণ চায় না। তাদের কোনো পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে যারা কথা বলবে তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে। এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে আপস করা হবে না।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‘স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) ও সাপ্তাহিক ‘উদ্যোক্তা’ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, এ দেশের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের তুলনা হয় না। আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হতে চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হতে চাই।

তিনি বলেন, এটি আফগানিস্তান আর ইরাক নয়। আমাদের সংবিধানে ৪টি মূলনীতি রয়েছে। এর বাইরে আমরা কারও পরামর্শ শুনব না। দেশে যখন দশ লাখ রোহিঙ্গা এলো, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, ১৬ কোটি লোককে খাওয়াতে পারলে ১০ লাখ লোককে পারব না কেন। তিনি তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। আমরা আগামীতে বিশ্ব নেতৃত্ব দেব। এ অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না।

ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে ড. ইউনূস তার আসল চরিত্র উন্মোচিত করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে একটা সাবধান বাণী উচ্চারণ করতে চাই। বিদেশিরা তো করেছে, দেশের যারা এসবে জড়িত থাকবেন তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন।

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মনীন্দ্র কুমার রায় বলেন, আমেরিকার অভ্যাস হলো অন্য রাষ্ট্রের ওপর হস্তক্ষেপ করা। ২৫ বছর পরপর তারা কিছু গোপন নথি ফাঁস করে। সেখানে দেখা যায়, কীভাবে কিসিঞ্জার সাহেবসহ অন্যরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আলোচকদের কথার মধ্যে উঠে এসেছে, বিদেশিরা এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের সংগঠন ‘ইআরডিএফবি’ এসবের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। বিদেশিদের এ ষড়যন্ত্র কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে না।

পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে আমরা কারও সঙ্গে আপস করব না। এ ব্যাপারে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। আপনি যেই হোন না কেন এ দেশের ইতিহাসকে স্বীকার করতে হবে। আপনাকে স্মৃতিসৌধে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ারুল কবির ও বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. তৌহিদা রশীদ।

Pin It