ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বি‌রোধী দ‌লের নামও থাক‌তে পা‌রে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

48e0d32388ba905f4ea981f4dce5eb54ee0391211f0a983c

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধের আওতায় বি‌রোধী দ‌লের কারো কারো নাম থাক‌তে পা‌রে। ত‌বে নতুন করে কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে নতুন করে স্যাংশন আসতে পারে। এছাড়া নি‌ষেধাজ্ঞায় পড়াদের সংখ্যার বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। এটুকু বলতে পারি সেই সংখ্যাটা খুব বড় নয়, ছোট। এ ব্যাপারে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

শুক্রবার রাতে গুলশা‌নে নিজ বাসভব‌নে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা।

শাহ‌রিয়া‌র আলম ব‌লেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের ভালো বৈঠক হয়েছে। তাদের কনসার্নের জায়গাগুলো নিয়ে যে আমরা কাজ করছি, সেটা দৃশ্যমান। তারাও বলেছে যে, আমরা উন্নতি করছি। প্রত্যাশা যে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারা নিশ্চয় তথ্য যাচাই করে তা করছে।

তি‌নি আরও ব‌লেন, বিরোধী দলের ভেতরেও পরিবর্তন লক্ষণীয়। সেটি ভিসানীতির কারণে হতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা তৈরি করলে, আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করবো। তারা যদি না বলেন, তাহলে তো জানা কঠিন। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকা খুব বড় নয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব‌লে‌ন, কোনো দে‌শের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে কারো কোনো হস্তক্ষেপ আমরা দেখতে চাই না। আমরা এটাকে গুড স্পিরিট হিসেবে দেখছি। কিন্তু মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে বিরোধী দল। তারা নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। স্যাংশনের তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের নামই বেশি থাকার কথা। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এটাই প্রমাণ করে সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক। কেউ যদি কোনো নাশকতা করে, তবে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপি চাপে আছে উল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, আমাদের কিছু হারানোর নেই। আমরা মোটেও দুশ্চিন্তা করছি না।

Pin It