মহারাষ্ট্র নাটকের সর্বশেষ, এবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ !

image-104911-1573557400

ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক চলছেই। সর্বশেষ মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২৪ অক্টোবর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ২০দিন কেটে গেলেও সে রাজ্যে সরকার গঠনের বিষয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। সমস্যার সমাধানে শেষমেশ রাষ্ট্রপতির শাসনের শরণাপন্ন হবার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। খবর এনডিটিভির।

বিজেপি এবং শিবসেনা, কোন দলই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে সমর্থ না হওয়ায় শারদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিকে(এনসিপি) সরকার গঠনের আহ্বান জানান রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সরকার গঠনের জন্যে এনসিপিকে সময় দেওয়া হলেও তার আগেই এই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশে অনেকেই অবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থন মূলক চিঠি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আরও তিনদিন সময় দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করে শিবসেনা। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের অতিরিক্ত সময় না দিয়ে পরিবর্তে, তৃতীয় বৃহত্তম দল এনসিসিপিকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

বিজেপি-বিরোধী জোটের সমর্থনে শিবসেনার সরকার গড়ার স্বপ্ন অনেকটাই ধাক্কা খায় কংগ্রেসের অসম্মতিতে। কংগ্রেস বলে শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে চায় তাঁরা। এ বিষয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আরও আলোচনা করা দরকার বলে জানায় সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে ফোনে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলার পর সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সোনিয়া গান্ধী তার দলের শীর্ষ নেতাদের মুম্বাইয়ে পাঠান।

বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করতে না পেরে এবার কংগ্রেসের নৌকায় পা দিয়ে বৈতরণী পার করার চেষ্টায় ছিল শিবসেনা। এদিকে মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন শারদ পাওয়ার ও তার ভাগ্নে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং দলের প্রবীণ নেতা ও বিধায়করা।

মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়করা শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনের পক্ষে থাকলেও সোনিয়া গান্ধী মতাদর্শগতভাবে চিরকালীন শত্রুর সঙ্গে জোট বাঁধার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের পক্ষে মত দেন। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রাজ্যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে। কারণ, এনসিপি এবং কংগ্রেস উভয়ই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছে।’

শিবসেনা সোমবারই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারে থাকা দলের একমাত্র মন্ত্রীকেও মন্ত্রিসভা থেকে বের করে এনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এনসিপি তাদের শর্ত দেয় যেন তারা এনডিএ জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

সোমবার সন্ধ্যায় এনসিপি শিবসেনার সমর্থনের বিষয়ে চিঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকলেও কংগ্রেসের সমর্থনের অপেক্ষা করছিল। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এ বিষয়ে বলেন, ‘যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে তা সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে, তাই আমরা গতকাল (সোমবার) কংগ্রেসের মতামতের অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তা আসেনি। আমরা একা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই, আমরা একসঙ্গে রয়েছি। কংগ্রেস সময় নিচ্ছে কারণ আমরা শিবসেনার সঙ্গে ভোটে লড়িনি।’

Pin It