মানবিক কারণে খালেদাকে মুক্তি দিন: গণফোরাম

ganaforum-sayeed-130220-01

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সমাবেশে গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া বয়স্কা মহিলা। উনাকে যেভাবে রাখা হয়েছে, এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? মানবিক কারণে তো বিবেচনা করতে পারেন। মানবিক কারণে এই সরকার যদি বিবেচনা করে, তাহলে খুবই ভালো হয়।”

দুই বছর ধরে বন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিএনপিও দাবি জানিয়ে আসছে।

খালেদার প্যারোলে মুক্তির গুঞ্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবারই বলেছেন, সেজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে এবং তা যুক্তিযুক্ত হলে বিবেচনা করা হবে।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে আবু সাইয়িদ বলেন, “দিন আসছে, যেদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সাথে বাংলাদেশে উচ্চারিত হবে। যেটা অতীতে আমরা বাংলাদেশে দেখেছি।”

কামাল হোসেনকে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদও জানান এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা ও শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ।

তিনি বলেন, “আমাদের লিডার ড. কামাল হোসেন। পার্লামেন্টে কোনো কোনো মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি তাকে বলি, আপনি ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে কী জানেন?

“১৯৬৬ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে ’৬৯ এর সেই উত্তাল দিনগুলোতে সংবিধান রচনা করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীন দায়িত্ব দিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেনকে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে যান। তারপরে ড. কামাল হোসেনও গ্রেপ্তার হয়ে যান।

“৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি (কামাল হোসেন) পাকিস্তানের হরিপুর কারাগারে ছিলেন, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছিল, চার্জ গঠনও হয়েছিল, তার কারাদেণ্ডের সমস্ত ব্যবস্থা পাকিস্তান সরকার নিশ্চিত করেছিল।

“বঙ্গবন্ধু যখন জানলেন ড. কামাল হোসেন পাকিস্তানে বন্দি আছেন, তাকে সাথে করে নিয়ে আসলেন, তাকে প্লেনে নিয়ে পাকিস্তান থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে ক্যালকাটা হয়ে বাংলাদেশে আসলেন।”

Pin It