মিয়ানমারের ইন্টারনেট টেলিফোন ও টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ

image-218803-1612149302

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নেত্রী অং সান সু চি এবং রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিবিসির বার্মিস সার্ভিস জানিয়েছে, নাইপিডোতে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

দলের এক মুখপাত্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ সময় সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মায়ো নিউন্ট জানান, অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে। নিজেও আটক হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, এখন যা ঘটছে, তাতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ সময় তিনি দেশটির নাগরিকদেরকে দ্রুত কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও মিয়ানমারে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানোর এক দিন পর শনিবার অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সংবিধান মেনে চলা ও আইন অনুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।

দেশটিতে নভেম্বরের নির্বাচনের পর বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে আজ সোমবার থেকে নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউএসডিপি ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। দাবি মানা না হলে সেনাবাহিনী ফের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় তারা।

Pin It