মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ

মিয়ানমারের গণমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রকাশের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

prorastro-5c506a8de5ae4

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন ও কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। তার হাতে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্রও তুলে দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক খবরে বলা হয়, গত ২৪ জানুয়ারি ভোরে বাংলাদেশ থেকে একদল সন্ত্রাসী মিয়ানমারে প্রবেশ করে সীমান্তবর্তী শহরের পুলিশ চৌকিতে আক্রমণ করেছে।

মিয়ানমারের গণ মাধ্যমে এসব ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মিয়ানমারের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশকে জড়িয়ে শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট খবর পরিবেশন করেছে। বাংলাদেশ এ ধরনের অসত্য খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং আবারও দৃঢ়ভাবে বলতে চায়, বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির স্থান নেই।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েছে যে ঘটনার দিন বাংলাদেশ থেকে কেউ মিয়ানমারে অনুপ্রেবশ করেনি কিংবা কোন গুলি ছোড়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির তৎপরতা চালানোর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনী এ ব্যাপারে সদা সতর্ক। ফলে বাংলাদেশকে জড়িয়ে মিয়ানমারের গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রকাশিত খবর সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে বাংলাদেশ একাধিকবার দু’দেশের সীমান্তে যৌথ টহলের ব্যবস্থা করার জন্য মিয়ানমারকে প্রস্তাব দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনার কর্মপদ্ধতি ঠিক করার জন্যও প্রস্তাব দিয়েছে। মিয়ানমারের দাবি করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্যও মিয়ানমারকে বার বার আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কোন প্রস্তাব কিংবা আহবানেই সাড়া দেয়নি। ফলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনার বিষয়টি বাস্তবায়িত না হওয়ার জন্য মিয়ানমারের নিশ্চুপ ভূমিকাই দায়ী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চায়, বর্তমানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যে প্রস্তুতি ও কর্মতৎপরতা রয়েছে তা জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বমানের।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী অসাধারণ দক্ষতা ও আর্ন্তজাতিক মানের পেশাগত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বদ্ধ পরিকর এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

Pin It