মোদি সরকারের নতুন মেয়াদেই হবে তিস্তা চুক্তি

Syl-pic-5ce80f6a4e154

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নতুন মেয়াদে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাঘরিষ্ঠতা পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে চলেছে মোদির বিজেপি। এ উপলক্ষে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগেই তিস্তা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে এতদিন ধরে চুক্তি আটকে আছে। আশা করছি, মোদি সরকারের এই আমলেই তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে।

শুক্রবার সিলেট মহানগরের ধোপাদীঘির পাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের নতুন সরকারের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পৃথিবীতে বিরল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। মোদি উন্নয়নের পক্ষের লোক। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার অনেক বড় বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা হয়েছে।

তিস্তা চুক্তি সমাধানের ব্যাপারেও সব কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দ্রুতই এর মীমাংসা হবে। এ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি নদী সংযুক্ত রয়েছে। সেগুলো নিয়েও মোদি সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন ড. মোমেন।

এদিকে বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। সিলেট সিটি করপোরেশনভুক্ত অঞ্চল তার সংসদীয় এলাকার আওতাধীন। স্থানীয় এমপি হিসেবে তার কাছেও নানা দাবি-দাওয়া রয়েছে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের। সেসব জানাতেই নগরভবনে শুক্রবারের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে রুদ্ধদ্বার এ সভায় কাউন্সিলররা তাদের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা জানান, সিটি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় গত ৯ মাসে নিজেদের এলাকায় তারা কেন উন্নয়ন করতে পারেননি। মেয়য়ের কাছে গেলে বলা হয় ফান্ড নেই। অথচ নগরীর বড় বড় রাস্তা, ড্রেনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ঠিকই হচ্ছে। তাই কাউন্সিলররা নিজ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে মেয়র আরিফ বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দায়িত্ব পালনকালে যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা দিয়েই কাজ চলছে। সরকারের নতুন মেয়াদে সিসিকের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এখনও কোনো বরাদ্দ দেয়নি। বরং আগের বরাদ্দকৃত অর্থ পেতেও বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করেন মেয়র আরিফ।

এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হলাম। অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। সিলেটের উন্নয়নের জন্য যেখানে প্রয়োজন, আমাকে ব্যবহার করবেন। নগরীর সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিসিক মেয়রকে অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী।

Pin It