রাসেল ঝড়ে ফাইনালে রাজশাহী

Raj-samakal-5e1f406b17873

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে থেমে থেমে উঠেছিল ক্যারিবিয় ঝড়। প্রথমে ঝড় তুলেছিলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু দলের অন্যরা সেই ঝড়কে পুঁজি করে খুব বড় সংগ্রহ তুলতে পারেননি। জবাবে নামা রাজশাহী রয়্যালসের আবার শুরুতে ধস নামে। কিন্তু ক্যারিবিয় দানব আন্দ্রে রাসেল বলে একজন ছিলেন রাজশাহীর দলে। তার ঝড়ে বিবর্ণ হয়ে যায় গেইল ঝড়। রাসেল বনে যান ম্যাচের নায়ক। রাজশাহীকে দ্বিতীয়বারের মতো তোলেন ফাইনালে।

চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে নেমে হার দেখে ফেলেছিল রাজশাহী। ১৮তম ওভারের শুরুতেই হারিয়েছিল ৮ উইকেট। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান দরকার ছিল রাজশাহীর। ভরসা বলতে এক রাসেল। ক্যারিবিয় এই দানব দেখালেন তিনি ক্রিজে থাকলে কী করতে পারে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা মেহেদি রানার ১৯তম ওভারে তিনি তুলে নিলেন ২৩ রান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল রাজশাহীর। রাসেল শুরুর দুই বলই ডট দেন। পরের বলে ওয়াইড থেকে পান এক রান। আত্মবিশ্বাসী এই অলরাউন্ডার তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতান। নো বল হওয়ায় ওই বলটিও গণনায় আসেনি। রাজশাহীর এই জয়ে চট্টগ্রাম তো বটেই ক্রিস গেইল ভক্তরা মনে আঘাত পেয়েছেন। ইউনিভার্স বস ফর্মে ফিরেছেন। ঝড় দেখিয়েছেন আর চট্টগ্রাম সেই ম্যাচেই বিদায় নিয়েছে। বিপিএলের ২০১৮ সালের আসরের মতো আরেকবার ফাইনালে গেইল ঝড় দেখার আশা ভেঙেছে ভক্তদের।

টস জিতে রাজশাহী এ ম্যাচে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। শিশির ভেজা উইকেটে রান তাড়া করা সহজ হবে এই ছিল তাদের ধারণা। মিথ্যা হয়নি রাসেলের সিদ্ধান্ত। ক্রিস গেইলের আড়াইশ’ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংসটা তাই বিফলে গেল। দোষটা অবশ্য চট্টগ্রামের অন্য ব্যাটসম্যানদের। তার দুর্দান্ত ঝড়ের পরও ১৬৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। গুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। অন্য ব্যাটসম্যানরা ১০ রানের ঘরেও যেতে পারেনি।

চট্টগ্রামের রানের জবাব দিতে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটিং নির্ভর রাজশাহী শুরুতে ধসে যায়। লিটন দাস, আফিফ হোসেন এবং অলক কাপালি দলের ৩৪ রানের মধ্যে ফিরে যান। এ ম্যাচেও দলকে টানার ইঙ্গিত দেওয়া শোয়েব মালিক ফিরে যান ১৪ রান করে।

তবে ইরফান শুক্কুর খেলেন ৪৫ রানের ভালো এক ইনিংস। মোহাম্মদ নওরাজ করেন ৫ বলে ১৪ রান। আর দুর্দান্ত ঝড় দেখানো আন্দ্রে রাসেল তার স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণ করে খেলেন ২২ বলে সাত ছক্কা ও দুই চারে ৫৪ রানের ইনিংস। রান তোলেন ২৪৫.৪৫ স্ট্রাইক রেটে। এর আগে রাজশাহীর হয়ে দারুণ বোলিং করেন মোহাম্মদ ইরফান এবং মোহাম্মদ নওরাজ। তারা দু’জন ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ১৬ ও ১৩ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি করে উইকেট। অন্যদিকে রুবেল, মেহেদি রানারা শুরুতে ভালো বোলিং করলেও শেষ পর্যন্ত দলের হারের কারণ হন।

Pin It