বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ২/৩টি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পুলিশও রিপোর্ট দেবে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা নামধাম মিলিয়ে দেখব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় হামলা ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি এ সব কথা বলেন।
বার কাউন্সিল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, যারা অন্যের পরীক্ষা বন্ধের জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তারা আইনজীবী হওয়ার যোগ্য নন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চারদিক থেকে চাপ রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে প্রায় ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা। অনেকে পরীক্ষা বর্জন করে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান। এদের মধ্যে দুইটি কেন্দ্রের একদল উচ্ছৃঙ্খল পরীক্ষার্থী অন্য পরীক্ষার্থীদের খাতা কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ ও পুরান ঢাকার মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে। এই দুই কেন্দ্রের প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী তাদের খাতা জমা দিতে পারেননি।
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে ১৮০০ এবং পুরান ঢাকার মহানগর মহিলা কলেজে ১২০০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ কেন্দ্রের ৩১৭টি খাতা জমা হয়েছে। বাকি খাতাগুলো উচ্ছৃঙ্খল পরীক্ষার্থীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। মহানগর মহিলা কলেজের আনুমানিক ৮০০ খাতা জমা হয়েছে। অনেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে তাণ্ডব চালায়। তারা প্রায় ৬০টি কক্ষের জানালা ও দরজা ভাঙচুর করে। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীকে ভয় ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এসব ঘটনায় পুলিশ ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে।