রেকর্ড গড়ে জিতল রংপুর

Rangpur-Syhlet-samakal-5c43093ace828

বিপিএলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড সিলেটের। ২০১৩ সালে রংপুরের বিপক্ষে ১৯৮ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তখন অবশ্য সিলেট রয়্যালস নামে খেলত তারা। সেই শোধ এবার নিল রংপুর রাইডার্স। হারের বৃত্তে থাকা গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা এবি ডি ভিলিয়ার্সে উজ্জ্বীবিত হয়ে দেখা পেল জয়ের। সিলেটের দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যে পৌছে গেল ৪ উইকেট হাতে রেখে। বিপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ১৯৪ রান তোলে ওয়ার্নারের দল। সাব্বির রহমান খেলেন ৫১ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তিনি যেন বলতে চেয়েছেন, ওয়ার্নার গেলেও সমস্যা নেই আমরা তো আছি। তবে দিন শেষে পরাজিত দলে থাকতে হলো তাদের। সিলেটের হয়ে ভালো সংগ্রহ পাওয়ার পথে নিকোলাস পুরান ২৭ বলে ৪৭ রান করেন। এছাড়া আফিফ এবং ওয়ার্নার করেন ১৯ করে রান।

জবাবে কোন রান না তুলেই ফিরে যান গেইল। সেখান থেকে রুশো-হেলসের ৬৩ রানের জুটি। ব্যর্থ হওয়া হেলস এ ম্যাচে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন। এরপর রুশো-ভিলিয়ার্স মিলে জুটি গড়েন ৬৭ রানের। দারুণ ফর্মে থাকা রুশো এ ম্যাচে ৩৫ বলে ৬১ করে ফেরেন। এরপর ভিলিয়ার্স দারুণ কিছুর ইঙ্গিত করেও ২১ বলে ৩৪ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হন। শেষটায় ফরহাদ রেজার ৬ বলে ১৮ রান জয় এনে দেয় রংপুরের।

সিলেটের হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা তাসকিন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। রান আটকাতে পারেননি তিনি। পারেননি মেহেদি রানা, মোহাম্মদ ইরফানরাও। আর তাই হারের বৃত্তে থাকতে হলো তাদের। এর আগেও ম্যাচেও ভালো সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিপক্ষে হারে সিলেট। রংপুরের হয়ে মাশরাফি নেন ২ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৯৪/৪ (লিটন ১১, সাব্বির ৮৫, আফিফ ১৯, ওয়ার্নার ১৯, পুরান ৪৭*, জাকের ৫*; নাজমুল ২-০-১৮-০, মাশরাফি ৪-০-৩১-২, শফিউল ৪-০-৪৩-১ ফরহাদ ৩-০-৩৫-০, নাহিদুল ২-০-১৬-০, গাজি ২-০-১৬-০, গেইল ৩-০-৩৪-০)।

রংপুর রাইডার্স: ১৯.৪ ওভারে ১৯৫/৬ (গেইল ০, হেলস ৩৩, রুশো ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৩৪, মিঠুন ১৪, নাহিদুল ১৯, মাশরাফি ৫*, ফরহাদ ১৮*; ইরফান ৪-০-৩৪-১, তাসকিন ৪-০-৪২-৪, লামিচানে ৪-০-২১-০, রানা ৪-০-৫৭-০, অলক ৩.৪-০-৩৪-১)।

Pin It