শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বুয়েট ভিসি

Untitled-5-5d9c8b8b5feda

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রায় ৫০ ঘণ্টা পর বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সামনে এসেছেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৬টায় তিনি তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার কাছে জানতে চান, এত সময় ধরে তিনি কোথায় ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি মাইকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে চান। কথার শুরুতেই তিনি বলেন, আবরারের মৃত্যু হয়েছে। তখন শিক্ষার্থীরা মৃত্যু নয় খুন হয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায় তিনি বলেন, ঠিক আছে খুনই হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। ৫-৬ জনকে নিয়ে বসেছি। সবতো আমার হাতে নেই, যেগুলো আমার হাতে আছে সেগুলো আমি করছি। নীতিগতভাবে তোমাদের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। সারাদিন মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তোমরা অধৈর্য হবে না।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে সিন্ধান্ত না দিয়ে ভিসিকে ক্যাম্পাস না ছাড়ার দাবি জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো অন্যায় করিনি’। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ করে স্লোগান দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষাথীরা ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।

আবরার হত্যায় আরও ৩ জন গ্রেফতার

 বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার বুয়েটের ওই তিন ছাত্রকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আবরার হত্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার তিনজন মামলার এজহারভুক্ত আসামি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও মো. আকাশ হোসেন (২১)। এর আগে সোমবার রাতে ১০ জনতে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ। এ রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কিছু নেতা।

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্নাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

Pin It