সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ

image-612479-1667578958

সুচিকিৎসা নিশ্চিতে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গি পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

খুরশীদ আলম বলেন, এরই মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তবে রাজধানীর একাধিক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার হাসপাতালগুলো এ নির্দেশনা মানছে না। রোগীদের ওষুধও কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। দেওয়া হচ্ছে না মশারি।

হাসপাতাল ও ডেঙ্গি রোগী ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গি টেস্ট ফ্রি করা হচ্ছে। যদিও আমাদের বলা হয়েছিল টাকার বিনিময়ে টেস্ট করতে কিন্তু আমরা সেটা করিনি।’

গত তিন দিনে দুই হাজার রোগী আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘গেল মাসেও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তাই ডেঙ্গি রোগী এখনো আমরা পাচ্ছি। তবে আমরা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত আছি। কোভিডের সময় ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে উত্তর সিটির এক হাজার শয্যা হাসপাতালের ৫০০ শয্যা ডেঙ্গি রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি অন্যান্য হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে না পারে তাহলে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের এখানে ভর্তি করা হবে।’

ডেঙ্গি রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ‘ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোনো পদ্ধতি দরকার হয় না। পর্যাপ্ত তরলজাতীয় খাবার, সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া ও জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল কিন্তু যারা দেরি করে হাসপাতালে আসে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, সেই সময় বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।’

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘ঢাকার বাইরে রোগী মৃত্যু বেশি এটা বলা যাবে না। কারণ ঢাকার বাইরে টেস্টও কম হচ্ছে। টেস্ট করলে বোঝা যেত আসল পরিস্থিতি। তাই এখনো বলা যায়, ঢাকার বাইরে নয়, ঢাকাতেই মারা পড়ছে বেশি।’

সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজের সমন্বয়ের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে আমরা কাজ করছি। দুই সিটি করপোরেশন তাদের মতো কাজ করছে। আমরাও কাজ করছি। আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি নেই।’

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গি কবে কমবে এ বিষয়ে অধিদপ্তর কোনো কাজ করে না। এটি করে দেশের কীটতত্ত্ববিদরা। তাই তারাই ভালো বলতে পারবে কবেনাগাদ ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে।’

Pin It