সরকারের পদত্যাগই সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি: রিজভী

image-750651-1702396303

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে মাটিচাপা দিয়েছে। গোরস্তানে পাঠিয়েছে। এরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী নয় বলে উপহাস, তামাশা ও তাচ্ছিল্য করছে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ। সেখানে একজন দল-নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তার (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) অধীনেই কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।

মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে বিচলিত হন, অস্থির হয়ে যান। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করছে, তা প্রতিদিন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন একক উপনিবেশ শাসনের অধীনে রয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে। গ্যারান্টি হচ্ছে তারা সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে।

সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছেন। কিসের উন্নয়ন করেছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করেছেন, যাতে বিরোধী দল দমন করা যায়। কোথাও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির চিন্তা করলেই পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়। দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের সব জনগণকে পশুর ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে। গোটা দেশকে পশুর খোয়ারে পরিণত করতে চাচ্ছে। এই অন্যায় অবিচার জুলুম আর কতদিন চলবে? আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময়ে সাত মামলায় ৮৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Pin It