সর্বোচ্চ আদালতে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা

cc-5dee686ba9601

দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোমবার বিকেল থেকেই আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্ট বিভাগের যেসব স্থানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা অকার্যকর সেগুলো কার্যকর করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ভেতরে যে হট্টগোল হয়েছে, আবারও এমন ঘটনা ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপিল বিভাগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে নজিরবিহীন হট্টগোল হয় আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের মুখে থমকে ছিল বিচারকাজ। এমন বাস্তবতায় আগামী বৃহস্পতিবার আবার খালেদার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। যা নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এ প্রেক্ষাপটে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, ৫ ডিসেম্বর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে হট্টগোল, হৈচৈ ও বিশৃঙ্খলা করেছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। এর আগেও তারা একাধিকবার হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতে ভাঙচুর ও হট্টগোল করেছেন। এসব বিষয় চিন্তা করে হয়তো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এজলাসের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সময় উপযোগী ও সঠিক। আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খলা চলতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, প্রতিবাদের নানা ভাষা হতে পারে। আদালতের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি রক্ষা করেই শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা যায়। কিন্তু তারা আদালতের ভেতরে যে ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে তার বিহীত হওয়া দরকার। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে বহিরাগতদের এনে কেউই এজলাসের ভেতরে বিশৃঙ্খলা করার সাহস পাবে না। মাহবুবে আলম বলেন, সেদিন আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা বসে ছিলেন, তারা ঠেকানোর কোনো চেষ্টা তো করেইনি, বরং তারা উস্কানি দিয়েছে, চকলেট বিতরণ করেছে। সংসদে এ-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তির বিধান করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, আদালত কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ভালো উদ্যোগ। আদালতের নিরাপত্তার প্রশ্নে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো যেতে পারে। ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেদিন আইনজীবীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করেননি। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন চেয়েছেন। ন্যায়বিচার চেয়েছেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Pin It