আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের দ্বিতীয় ছেলে ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও মদ পান করার দায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ছয় মাস এবং মদ পান করার জন্য আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আশিক বিল্লাহ বলেন, এরফান সেলিমের বাসা থেকে পাঁচ-ছয় লিটার বিদেশি মদ, ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে ৪০০ পিস ইয়াবা ও বিদেশি অস্ত্র পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, এসব ওয়াকিটকির মাধ্যমে এলাকা নিয়ন্ত্রণ ও চাদাবাজি করতো হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান। চকবাজারের তাদের বাসার পাশে টর্চার সেলের সন্ধান মেলে। সেখানে মানুষকে জিম্মি করে নির্যাতন করা হতো।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই দণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়া নোয়াখালীর এক এমপির জামাতা।
এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে মারধর করা হয়। এসময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।
এ ঘটনায় সোমবার হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। মামলার মূল আসামি হলেন সংসদ সদস্যের ছেলে ইরফান।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর গাড়ি থেকে কয়েক ব্যক্তি নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করে। এতে তার দাত ভেঙে যায়। এসময় তার স্ত্রী বাঁচাতে এলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। গাড়িটি হাজী সেলিমের। তবে ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।