৭ সংস্থার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মসম্পাদন চুক্তি

PMO

কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনের আওতায় সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) তার অধীন সাতটি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিগুলো সই হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান সভাপতিত্ব এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

যেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপিএ), এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসএসডিএ) এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, বিডার সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, পিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলকামা সিদ্দিকী, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন, এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেইন এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কর্মসম্পাদনে বিভিন্ন মডেল উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এপিএ বাংলাদেশের নিজস্ব মডেল, এটি আমাদের গর্ব। এপিএ যতটা দক্ষভাবে কাজ করবে দেশের উন্নয়নেও সেই মাত্রায় গতিশীলতা পাবে।”

এপিএ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জনের জন্য দক্ষতা আরও বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি।

বার্ষিক কনফিডেনশিয়াল রিপোর্টকে (এসিআর) আরও গ্রহণযোগ্য করার আহ্বান জানিয়ে আজাদ বলেন, “এটি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কাজেই একে যতটা কার্যকর করা সম্ভব হবে ততটাই এপিএ’র লক্ষ্য অর্জন করাও সম্ভবপর হয়ে উঠবে।”

তার আগে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

Pin It