আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়।
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তার আশু রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
“সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে তার জন্য সবাই যেন একটু দোয়া করি।”
ওবায়দুল কাদের শারীরিক অবস্থা এখন কেমন- এই প্রশ্নে শফিউল বলেন, “একটু উন্নতি করেছে, উনার পর্যবেক্ষণের জন্য বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডা. দেবী শেঠীকে নিয়ে আসা হয়েছে। উনি যে মতামত দেবেন সেই মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হবে।”
রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করার পর কাদেরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতির দিকে যায়। চিকিৎসকরা তখন কৃত্রিমভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেন।
৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে ক্রিটিক্যাল করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভেন্টিলেশনে (কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা) রাখা হয়। তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি চিকিৎসক দল ঢাকায় এলেও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যাত্রা পিছিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠী সোমবার দুপুরে ঢাকায় এসে কাদেরের অবস্থা দেখে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তার সঙ্গে পরামর্শ করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকরা ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিলে বিকালেই কাদেরকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।