নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে আবার উলভসের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে হার। ডাবলিনে মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাই চাপে ছিল মাশরাফিরা। তবে শুরুর ম্যাচে দারুণ ফর্মে থাকা উইন্ডিজকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজ বলেন কিংবা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি, টাইগাররা শুরু করেছে দুর্দান্ত।
বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ ব্যাট করেছেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে তাই বেগ পেতে হয়নি স্টিভ রোডসের শিষ্যদের। দুই ওপেনার তামিম এবং সৌম্য সরকার গড়েন ১৪৪ রানের দারুণ এক জুটি। ওই জুটিতেই ম্যাচ টাইগারদের পক্ষে চলে আসে। পরে সৌম্য-তামিম বড়-সড় ফিফটি করে ফেরেন। তবে ম্যাচ নিয়ে কোন শঙ্কা তৈরি হতে দেননি সাকিব এবং মুশফিক।
দেশের মাটিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা দুই সেঞ্চুরি করে উড়ন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আয়ারল্যান্ডে গেছেন সৌম্য। জাতীয় লিগে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেই ফর্ম জেসন হোল্ডারদের বিপক্ষেও দেখান তিনি। নয় চার এবং এক ছয়ে ৬৮ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। ফেরেন ড্যারেন ব্রাভোর হাতে দারুণ এক ক্যাচ হয়ে। ধীরে খেলা তামিম সেঞ্চুরির আশা জাগাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনিও ১১৬ বলে ৮০ রান করে ফেরেন।
বাকি ধাপটা পাড়ি দেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। প্রস্তুতি ম্যাচে উলভসের বিপক্ষে ফিফটি পাওয়া সাকিব এ ম্যাচে ৬১ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তিনটি চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। সঙ্গে মুশফিক দুই চার ও দুই ছয়ে ২৫ বলে ৩২ রানের হার না মানা ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশ দল হাতে ৩০ বল রেখে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এর আগে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভয় ধরানোর মতো ব্যাটিং শুরু করে। আগের ম্যাচে তারা ডাবলিনে রেকর্ড রান তুলেছে। মাশরাফিদের বিপক্ষেও শাই হোপ এবং সুনীল আমব্রিস বিনা উইকেটে ৮৯ রান তুলে ফেলেন। তবে তাদের ইনিংসের মাঝপথে মাশরাফি এবং সাইফউদ্দিন লেজ টেনে ধরেন। মাশরাফি ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। মুস্তাফিজ দুটি উইকেট নিলেও দিয়ে বসেন ১০ ওভারে ৮৪ রান। এছাড়া মেহেদি মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা শাই হোপ এ ম্যাচেও শত রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ১০৯ রানে মাশরাফির বলে আউট হন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এছাড়া উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুত দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।রোস্টন চেজ করেন ৫১ রান। তিনিও মাশরাফির শিকারে পরিণত হন।