দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর শপথ

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

modi-oath-3

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলের ওই ভবনে সন্ধ্যা ৭ টায় মোদী দেশের ১৫ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

মোদীর সঙ্গে প্রথমেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতিন গডকরি, সদানন্দ গৌড়া। এরপর একে একে শপথ নেন অন্য মন্ত্রীরাও।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ এবারই প্রথম মন্ত্রী হচ্ছেন। ওদিকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজনের আসন নিশ্চিত হয়েছে।

নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতিভবনে করা হয়েছিল এলাহি আয়োজন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা ছিল প্রায় আট হাজার। তারা সবাই যথাসময়ে সেখানে পৌঁছান। অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত হন সোনিয়া, রাহুল গান্ধীসহ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, তার স্ত্রী রাশিদা খানম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ কুমার জুগনাথ, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট, কিরগিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শোরেনবেয় জিনবেকভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথরিপালা সিরিসেনা, থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী গ্রিসাদ বুনরাচাস।

২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদীর শপথের সময় রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

সন্ধ্যা সাতটা বাজার কয়েক মিনিট আগে রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গনে মোদী প্রবেশ করেন। তিনি আসামাত্র উপস্থিত অতিথিরা হর্ষধ্বনি করে ওঠে। ঘড়ির কাঁটা ঠিক সাতটায় পৌঁছালে রাম নাথ কোবিন্দ নেমে আসেন রাষ্ট্রপতি ভবনের সিঁড়ি বেয়ে। বাজানো হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। শপথের জন্য মোদীর নাম ঘোষণা করা হলে হর্ষধ্বনি ওঠে চারিদিকে।

নয়দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের লাল কার্পেট বিছানো প্রাঙ্গণে এ নিয়ে হল চতুর্থ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রথমটি হয়েছিল জওহরলাল নেহরুর আমলে। দ্বিতীয়টি চন্দ্র শেখর যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন। তৃতীয় ও চতুর্থবার হল নরেন্দ্র মোদীর শপথ।

নিরাপত্তার স্বার্থে রাইসিনা হিল এলাকার সব সরকারি কার্যালয় বেলা দু’টোর পর বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময় থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয় ওই এলাকার সব রাস্তা। দিল্লির তাপমাত্রা দিনের বেলা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের আলো পড়ে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে নামলেও গরমের আবহ ছিল একই রকম।

Pin It