ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে দিকনির্দেশনামূলক সভায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। ডিএসসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের প্রতিশ্রুতি দেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উদ্দেশে মেয়র সাঈদ বলেন, ‘গত বছরের ঈদে আমরা ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছিলাম। এবার কি পারব? সবাই হাত তোলেন।’ এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাত তুলে সম্মতি জানান। তিনি তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেন।
নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা এবারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করব। ঈদের দিন নামাজের পর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। ঈদের পরদিন ও তৃতীয় দিন কিছুসংখ্যক পশু কোরবানি হয়।’
নগরবাসীর উদ্দেশে সাঈদ খোকন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে। ডিএসসিসির এলাকায় সর্বমোট ৩৩৯টি স্থান পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমামসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। আপনারা অনুগ্রহ করে সেখানে পশু কোরবানি করবেন। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বড় ব্যাগ দেওয়া হবে। সেই ব্যাগে বর্জ্য ঢুকিয়ে নির্ধারিত স্থানে রাখবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন। পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে আমাদের হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন দেবেন। অপারেটররা আপনার বাসাবাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এ ছাড়াও বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে লাইভ মনিটরিং এর মাধ্যমে তদারকি করা হবে।’
সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হাসান, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সব ওয়ার্ডের পুরুষ ও নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পরিবহন চালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মধ্যে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক পদযাত্রার উদ্বোধন করেন। তিনি এডিস মশার লার্ভা নিধনে নাগরিকদের নিজ নিজ বাড়িঘর আঙিনার আশপাশের কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।