আশা ছাড়ছেন না ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’র সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ল্যান্ডারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে দ্রুত অবতরণের পর ভেঙে যায়নি, হেলে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা।
বিক্রমের মধ্যে রয়েছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। শনিবার ভোরে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে থাকাকালীন তার সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তারপরেই সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে।
ইসরোর এক কর্মকর্তা সোমবার জানিয়েছেন, অরবিটারে থাকা ক্যামেরায় তুলে পাঠানো ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার আগে, সেটি দ্রুত অবতরণ করে। ল্যান্ডার অক্ষত রয়েছে, সেটি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়নি। এটি হেলে পড়ে রয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ইসরোর ওই কর্মকর্তা বলেন, ল্যান্ডারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করা যায় কিনা, আমরা তা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি।
চন্দ্রযান-২ এর মধ্যে রয়েছে-অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার এবং রোভারের আয়ুষ্কাল এক চন্দ্রদিবস বা পৃথিবীর ১৪ দিন।
শনিবার ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভান বলেন, ১৪ দিন ধরে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে। রোববার চাঁদের মাটিতে অরবিটার ক্যামেরায় ল্যান্ডারের ছবি দেখতে পাওয়ার পর সেটি আবারও মনে করিয়ে দেন তিনি।
ইসরোর এক কর্মকর্তা বলেন, যদি সেটি ভেঙে যায়, তাহলে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন। সম্ভাবনা কম। যদি সেটি ধীরে ধীরে অবতরণ করে এবং যদি সমস্ত সিস্টেম কাজ করে তাহলেই একমাত্র যোগাযোগ করা সম্ভব।
ইসরোর আরেক কর্মকর্তা বলেন, ল্যান্ডার যে আবারও জীবন ফিরে পেয়ে আশার সঞ্চার করেছে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তার কথায়, তবে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের মহাকাশযান খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটা ভূ-সমল কক্ষপথে। তবে বিক্রমের ক্ষেত্রে, এখানে এই ধরনের সুবিধা নেই। সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়ে রয়েছে এবং আমরা সেটাকে পরিবর্তন করতে পারছি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-অ্যান্টেনা থাকা উচিত গ্রাউন্ড স্টেশন বা অরবিটারের দিকে। এই ধরনের অভিযান সত্যিই খুবই কঠিন। একই সময়ে, সম্ভাবনারও।