আশুরার দিনে কারবালায় পদদলনে নিহত ৩১

Ashura-in-the-holy-city-of-Kerbala

আশুরার দিনে ইরাকের কারবালায় তাজিয়া মিছিলের সময় ইমাম হোসেনের (রা.) মাজারের কাছে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার এ ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, হাজার হাজার মানুষ তাজিয়া মিছিল নিয়ে ইমাম হোসেন (রা.) মাজারের দিকে যাওয়ার সময় একটি ওয়াকওয়ে ধসে পড়লে আতঙ্ক তৈরি হয়। এ সময় ছুটোছুটি শুরু হলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে খলিফা ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। মুসলমানদের শিয়া ও সুন্নী মতবাদে বিভক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ওই ঘটনা বড় ভূমিকা রাখে।

ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিনটি মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। বিশেষ করে শিয়া মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।

আশুরার দিনে লাখো মানুষ তাজিয়া মিছিল নিয়ে সমবেত হন কারবালায় ইমাম হোসেনের সমাধি প্রাঙ্গণে। মাজার কর্তৃপক্ষের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার অন্তত ৩০ লাখ মানুষ এই শোকের মিছিলে সমবেত হয়েছিলেন।

আবুধাবিভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের খবরে বলা হয়, ইয়াজিদের বাহিনীর সঙ্গে ঝুদ্ধের সময় ইমাম হোসেনকে বাঁচতে কাছের এক গ্রাম থেকে দৌঁড়ে গিয়েছিলেন তার সৎ ভাই আল আব্বাস। কিন্তু ততক্ষণে নিহত হন হোসেন।

সেই ঘটনার স্মরণে আশুরার দিন দুপুরে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ দৌড়ে ইমাম হোসেনের কবরে পৌঁছান তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। মঙ্গলবার সেই দৌড়ের মধ্যেই অতিরিক্ত ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে পদদলেনের ঘটনা ঘটে বলে কারবালার নিরাপত্তারক্ষীরা জানান।

Pin It