ক্লান্তি কাটাতে চা! তবে অতিরিক্ত পানে হতে পারে নানান সমস্যা।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে অতিরিক্ত চা পানের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানানো হল।
ঘুমের সমস্যা: যদি ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা দেখা দেয় তাহলে এর অন্যতম কারণ হতে পারে, আপনি একজন চা প্রেমী। চায়ে থাকা ক্যাফেইন, ঘুম-চক্রে বাধার তৈরি করে। ক্যাফেইন মেলাটোনিন হরমোনের উপর প্রভাব রাখে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
কম পুষ্টি শোষণ: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করা হলে হজমে সমস্যা দেখা দেয় এবং পুষ্টি শোষণ কম হয়। চায়ে ট্যানিন নামক উপাদান থাকে যা খাবারের লৌহ শোষণে বাধা দেয়। তাই খাবারের সঙ্গে চা পান না করে দুবেলার খাবারের মাঝামাঝি সময়ে চা পান করা উচিত।
অস্থিরতা বাড়ায়: ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু বিরতি নিতে চা পান অনেকেরই পছন্দ। তবে অতিরিক্ত চা পান মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা বাড়ায়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে অস্তিরতা দেখা দেয়। এই সমস্যা কমাতে চাইলে চা পানের পরিমাণ কমানো উচিত এবং সাধারণ চায়ের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা, যেমন- ক্যামোমাইল চা বা গ্রিন টি পান করা যেতে পারে।
বুক জ্বালা পোড়া ও অস্বস্তি: চা’য়ে থাকা ক্যাফেইন অ্যাসিড সৃষ্টি করে। ফলে পেটে নানান সমস্যা দেখা দেয় এবং বুক জ্বলা, পেট ফোলা ও অস্বস্তি দেখা দেয়। তাছাড়া ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ অর্থাৎ পাকস্থলির অ্যাসিড খাদ্য নালীর দিকে ঠেলে দেওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে অতিরিক্ত চা গ্রহণ।
গর্ভাবস্থায় জটিলতা: অতিরিক্ত চা পান করা মা ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। শরীরে ক্যাফেইনের উপস্থিতি বেড়ে গেলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে ক্যাফেইন-হীন চা বা ভেষজ চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাথা-ব্যথা: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে মাথা-ব্যথা হতে পারে। তাই মাথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বেশি চা পান হতে পারে হীতে বিপরিত। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলেও মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
বমি বমি ভাব: অতিরিক্ত চা পান বিশেষ করে, দুধ চা বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। চায়ের কষভাব হজমে গোলযোগ সৃষ্টি করে। যা থেকে হতে পারে পেট ফোলাভাব, অস্বস্তি এবং পেট ব্যথা।